কার্লেস কুয়াদ্রাত। —ফাইল চিত্র।
৮০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল দল। সমর্থকেরা ভাবছিলেন, অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতে প্রতিযোগিতায় প্রবল ভাবে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু শেষ ১৬ মিনিটে সব হিসাব বদলে গিয়েছে। জোড়া গোল খেয়ে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে প্রথম ছয় দলের মধ্যে শেষ করা কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের। কিন্তু এখনও হতাশ হতে নারাজ কার্লেস কুয়াদ্রাত। লাল-হলুদ কোচের মুখে হাসি। তিনি জানেন, এখনও স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি।
জামশেদপুর ম্যাচের পরে আইএসএলের ওয়েবসাইটে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কুয়াদ্রাত বলেন, “আসলে এই দুই দলের মধ্য তেমন কোনও ফারাক নেই। তাই যে কোনও ফলই হতে পারত। আমাদের ছেলেরা আজ যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছে। কিন্তু অনেক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে। সে জন্যই এমন হল। আমরা ম্যাচের পরিকল্পনা অনুযায়ীই খেলছিলাম। আমাদের দল বেশ ভাল খেলেছে। দলের জন্য ছেলেরা সব কিছুই করেছে। তাই ওদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।”
জামশেদপুরের কাছে হারায় ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট তালিকায় আট নম্বরেই রয়েছে। নর্থইস্ট সাত ও জামশেদপুর ছয় নম্বরে রয়েছে। নর্থইস্ট ইস্টবেঙ্গলের থেকে ৪ পয়েন্ট ও জামশেদপুর ৫ পয়েন্ট এগিয়ে থাকলেও ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। নর্থইস্ট একটি ও জামশেদপুর দু’টি ম্যাচ বেশি খেলেছে। ফলে এখনও ফেরার সুযোগ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। সেটাই মাথায় রাখছেন কুয়াদ্রাত।
ইস্টবেঙ্গল কোচ জানিয়েছেন, পরের ম্যাচ জেতার দিকে নজর দিচ্ছেন তিনি। কুয়াদ্রাত বলেন, “অবশ্যই আমাদের সেরা ছয়ে যাওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা এখনও আছে। তবে সে জন্য আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে, প্রতিপক্ষ হিসেবে আরও কঠিন হয়ে উঠতে হবে। কঠিন ম্যাচগুলো জিততে হবে। যেমন গতকাল নর্থইস্ট জিতল গোয়ার বিরুদ্ধে। এর থেকেই বোঝা যায় এই লিগে যে কোনও দল যে কোনও প্রতিপক্ষকে হারাতে পারে। আমাদেরও সে রকম জয় পেতে হবে।”
এক গোলে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় গোল করতে না পারার খেসারত তাঁদের দিতে হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, “যখন কোনও দল এগিয়ে থাকে, তখন তাদের প্রতিপক্ষ যে মরিয়া হয়ে উঠবেই, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু দুই দলের মানে, শক্তিতে ফারাক না থাকলে অনেক কিছুই হতে পারে। আমরা ওই সময় দ্বিতীয় গোল করতে পারিনি, সেই জন্যই ম্যাচে যে কোনও ফল হতে পারত। সেটাই হয়েছে।”