গত ২ জানুয়ারি বার্সেলোনার একটি থানায় আলভেসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক তরুণী। ফাইল ছবি
ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত দানি আলভেসকে অন্য জেলে পাঠানো হল। নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরাসরি স্বীকার না করলেও স্পেনের পুলিশের দাবি, যে জেলে রাখা হয়েছিল ব্রাজিলের ফুটবলারকে, সেটি বিপজ্জনক। বেশি দিন সেখানে রাখা হলে প্রাণসংশয় হতে পারে আলভেসের। তাই তাঁকে অন্যত্র সরানো হয়েছে।
স্পেনের একটি জেলে বন্দি ছিলেন আলভেস। সেখানে ২০০-রও বেশি বন্দি ছিল। তাদের বেশির ভাগই হিংসাত্মক অপরাধের জেরে বন্দি। জেলের মধ্যে বন্দিদের মারপিটও লেগে থাকত। সেই জেলে তিন রাত ইতিমধ্যেই কাটিয়েছেন আলভেস। তাঁকে সোমবার রাতের দিকে এমন একটি জেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেটি আয়তনে ছোট। যেখানে বন্দিরা থাকেন, তার ঘরগুলি ছোট ছোট। ৮০-র বেশি বন্দি নেই। যারা রয়েছে, তারাও তুলনায় নিরাপদ। তা ছাড়া, জেলের আয়তনও ছোট। ফলে আলভেসকে নজরে রাখতে সমস্যা হবে না।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আলভেস কী ধরনের অপরাধ করেছেন সেটা স্থানান্তর করার সময় মাথায় রাখা হয়নি। স্রেফ নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্দি হিসাবে আলভেস তাঁর জনপ্রিয়তার কারণেই বাকিদের থেকে আলাদা। ফলে স্পেনের পুলিশ কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এর মাঝেই জানা গিয়েছে, আলভেসের পরিবার আইনজীবীদের বদলানোর কথা ভাবছে। আলভেসকে দ্রুত জেল থেকে বার করে এনে নির্দোষ প্রমাণ করাই তাঁদের লক্ষ্য।
গত শুক্রবার আলভেসকে বার্সেলোনার একটি পুলিশ স্টেশনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। আলভেস সেখানে আসার পরে তাঁকে জেরা করেছিল পুলিশ। তার পরে বার্সেলোনার প্রাক্তন ফুটবলারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুক্রবারই আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তাঁকে। বিচারক তাঁকে জেলের সাজা শুনিয়েছিলেন। জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছিল ফুটবলারের বিরুদ্ধে। আলভেসের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালতের আশঙ্কা ছিল, এক বার ছাড়া পেলে পালিয়ে যেতে পারেন আলভেস। তাই তাঁকে জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছিল।
মেক্সিকোর পুমাস ক্লাবে খেলতেন আলভেস। তাঁর জেলের সাজা হওয়ার পরে ক্লাব তাঁকে ছাঁটাই করে দিয়েছে। পুমাস জানিয়েছে, আলভেসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার পরে তাঁকে ক্লাবে রাখা যায় না।
গত ২ জানুয়ারি বার্সেলোনার একটি থানায় আলভেসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক তরুণী। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের শেষ দিনে বার্সেলোনার একটি পানশালায় আলভেসের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেখানেই শৌচাগারে আলভেস তরুণীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তরুণী জানিয়েছেন, জোর করে তাঁর অন্তর্বাসের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দেন আলভেস। কোনও রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যান তিনি।