শুরুর দিকে ক্যামেরা যত বারই সাজঘরের দিকে তাক করা হল, কোনও বারই দেখা গেল না ভারতের জোরে বোলার শামিকে। ফাইল ছবি
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি মহম্মদ শামিকে। বিশ্রাম দিতেই রোহিত শর্মা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। স্ত্রীর কাছে খোরপোশের মামলায় সদ্য হেরে যাওয়া শামি স্বাভাবিক ভাবেই শিরোনামে। তা আরও বাড়িয়ে দিল তাঁর অনুপস্থিতি। শুরুর দিকে ক্যামেরা যত বারই সাজঘরের দিকে তাক করা হল, কোনও বারই দেখা গেল না ভারতের জোরে বোলারকে। তিনি আবির্ভূত হলেন ৪১তম ওভারে।
ইনদওরে শুরু থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা ছিলেন মারকুটে মেজাজে। রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল, দুই ওপেনারই শতরান করেছেন। প্রত্যেকের অর্ধশতরান এবং শতরানের সময়ে ক্যামেরা সাজঘরের দিকে তাক করেছিল। দেখা গিয়েছিল, দলের বাকি সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছেন। যাঁরা এই ম্যাচে খেলছেন বা খেলছেন না, প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন। শুধু শামিকে দেখা যায়নি।
তাঁকে দেখা গেল ৪১তম ওভারের তৃতীয় বলে। জ্যাকব ডাফির বলে চার মেরেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তখন আবার ক্যামেরা ঘোরানো হয়েছিল সাজঘরের দিকে। সুন্দরের শট দেখে প্রত্যেকে হাততালি দিচ্ছিলেন। তবে পিছনের দিকে দাঁড়িয়েছিলেন শামি। তাঁর বেশ গম্ভীর মুখ ছিল। হাততালিও দেননি। দল থেকে বাদ পড়ে কি তা হলে শামি খুশি হতে পারেননি? প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে।
পরের দিকে আরও এক বার ক্যামেরা সাজঘরের দিকে তাক করে। সে সময় শামিকে দাঁড়িয়ে পাশে বসে থাকা এক সতীর্থের সঙ্গে হাসিমুখে গল্প করতে দেখা যায়।
আগের ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন শামি। ম্যাচের পর বলেছিলেন, “অনুশীলনের থেকে ম্যাচ খেলাই আমার বেশি পছন্দের। বড় প্রতিযোগিতার আগে যত বেশি ম্যাচ খেলব তত ভাল। ওয়ার্কলোডের ব্যাপারে দল পরিচালন সমিতি রয়েছে এবং ওরা ভাল কাজই করছে। আশা করি বিশ্বকাপের আগে প্রধান ক্রিকেটাররা তরতাজা হয়েই নামবে।”
তার আগে পুরস্কার বিতরণীতে এসে বলেছিলেন, “যখনই বল করা শুরু করি, তখন সঠিক লাইন এবং লেংথে বল করে যাওয়াই লক্ষ্য থাকে। তবে কখনও সখনও এমন হয় যে ভাল বল করেও উইকেট পাওয়া যায় না। আবার কোনও কোনও দিন ছন্দে না থেকেও উইকেট মেলে। এটা ক্রিকেট খেললে হতেই পারে।”
এর পর শামি সংযোজন করেছিলেন, “অনুশীলনে যত বেশি পরিশ্রম করবে, ম্যাচে তত বেশি সাফল্য পাবে। আমি এটাই বিশ্বাস করি। আজ সত্যিই ভাবতে পারিনি এত ভাল বল করতে পারব। বল হাত থেকে ছাড়ার মুহূর্তে সিমের পজিশন দেখেই বুঝেছিলাম আজ সাফল্য পাব। উইকেট স্যাঁতসেঁতে ছিল। কিন্তু সঠিক লাইন-লেংথ বজায় রাখা দরকারি ছিল।”