যুযুধান: (বাঁ দিকে) মহড়ায় বেলিংহাম ও গাকপো। ছবি: রয়টার্স।
পরিসংখ্যান বলছে, সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ নয়বারের সাক্ষাতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মাত্র একবারই জিতেছে ইংল্যান্ড। আর চলতি ইউরোর ছবিটা এমন যে, সেমিফাইনালে উঠে এলেন গ্যারেথ সাউথগেটের রণকৌশল এবং তাঁর দলের ফুুটবল দেখে সমর্থক থেকে প্রাক্তন তারকা, কেউই খুশি হতে পারছেন না। বুধবার ডর্টমুন্ডে তাই হ্যারি কেনদের সামনে জোড়া পরীক্ষা। প্রথমত নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালের ছাড়পত্র নিশ্চিত করা এবং তার সঙ্গে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সাউথগেট বলেছেন, ‘‘মানতেই হবে এ বার সমালোচনার আওয়াজটা উচ্চগ্রামের। তবে গত কয়েক বছর ধরে আমাদের দল যে রকম ভরডরহীন ফুটবল খেলছে, সেই দর্শনেই ভরসা রেখে খেলতে নামবে।’’ অধিনায়ক হ্যারি কেন যে প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘এমন পরিস্থিতি কী ভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তা আমরা রপ্ত করে নিয়েছি। নেদারল্যান্ডসের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে।’’
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, মেম্ফিস দেপাই-কডি গাকপো-জ়াভি সিমন্স, ডাচদের ত্রিফলাকে রোখাই বড় পরীক্ষা হতে চলেছে ইংল্যান্ড রক্ষণের সামনে। যা নিয়ে সাউথগেট বলেছেন, ‘‘রক্ষণকে মজবুত করার চিন্তাভাবনা চলছে। এই মুহূর্তে তা নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। তবে টানা দুই ইউরোর এই পর্যায়ে খেলাটা নিঃসন্দেহে অসাধারণ। ইংল্যান্ড সমর্থকদের প্রত্যাশা পূর্ণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে ফুটবলাররা।’’ কেন-ও বলেছেন, ‘‘নেদারল্যান্ডসের আক্রমণভাগ বিপজ্জনক। তবে আমরাও নিজেদের তৈরি রাখব।’’
এ দিকে, উলফসবার্গ থেকে ট্রেনে ডর্টমুন্ডে আসার কথা ছিল নেদারল্যান্ডস দলের। কিন্তু ট্রেন বাতিল হওয়ায় বিমান ধরতে হয় কডি গাকপোদের। তাই সাংবাদিক বৈঠক বাতিল হয়ে যায় ডাচ দলের।