bhaichung bhutia

FIFA bans AIFF: ভারতীয় ফুটবল সংস্থার নির্বাসনে ‘খুশি’ ভাইচুং ভুটিয়া! বলছেন, শাপে বর হল

ফিফার সিদ্ধান্তে শাপে বর হতে পারে বলে মনে করছেন ভাইচুং। তাঁর মতে, ভারতীয় ফুটবল প্রশাসনের খোলনলচে বদলে ফেলার সুযোগ রয়েছে তাঁদের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২২ ১২:৫০
Share:

ফুটবল প্রশাসকদের একসঙ্গে কাজ করার বার্তা ভাইচুংয়ের ফাইল চিত্র

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) নির্বাসিত করেছে ফিফা। এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় ফুটবলের জন্য জোর ধাক্কা হলেও এতে শাপে বর হতে পারে বলে মনে করছেন ভাইচুং ভুটিয়া। ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়কের মতে, ভারতীয় ফুটবল প্রশাসনের খোলনলচে বদলে ফেলার সুযোগ রয়েছে তাঁদের সামনে।

Advertisement

ফিফার ঘোষণার পরে ভাইচুং সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসিত করার ঘোষণা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। খুব কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। তবে সেই সঙ্গে এর একটা ভাল দিকও রয়েছে। ফুটবল প্রশাসনকে আবার ঠিক পথে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছি আমরা। তার জন্য ফুটবল ফেডারেশন, সব রাজ্যের ফুটবল সংস্থাগুলোকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।’’

ফিফার সিদ্ধান্তে হতবাক ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার শাবির আলিও। তিনি বলেছেন, ‘‘যেটা হল সেটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য খুব খারাপ। আশা করছি এই নির্বাসন তাড়াতাড়ি উঠে যাবে। ভারতে মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। আশা করি সেই প্রতিযোগিতা হবে।’’

Advertisement

ভারতীয় ফুটবলের এই পরিস্থিতির জন্য আবার প্রশাসকদেরই দায়ী করেছেন দুই প্রধানে খেলা মেহতাব হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এর দায় পুরোপুরি ফুটবল প্রশাসকদের। যখন ফিফা নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছিল তখন আমরা কীসের অপেক্ষায় ছিলাম? আমরা সময় নষ্ট করেছি। তার ফল ভুগতে হচ্ছে। এতে তো প্রশাসকদের কোনও সমস্যা হবে না। সমস্যা হবে ফুটবলারদের।’’

ফিফা জানিয়েছে, ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ফেডারেশনের সভাপতি পদে বসেছিলেন প্রফুল্ল পটেল। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই বছরের মে মাসে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিকে ভেঙে দেয়। ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব তিন সদস্যের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে (সিওএ) দেয়। একই সঙ্গে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনের নির্বাচন করতে হবে।

এর মধ্যে সিওএ আদালতে অভিযোগ করে, পটেল এখনও ফেডারেশনের কাজকর্মে পিছন থেকে হস্তক্ষেপ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে সিওএ। তখনই আদালতে জানানো হয়, মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করার কথা ভারতের। তার জন্য হাতে মাত্র দু’মাস সময় আছে। ফিফাও পরিষ্কার করে সিওএ-কে জানিয়ে দেয়, গণতান্ত্রিক ভাবে ফেডারেশনের নির্বাচন হলে তবেই ভারতকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেওয়া সম্ভব হবে। গোটা বিষয়টি এখনও সুপ্রিম কোর্টর বিচারাধীন। এই সঙ্কট থেকে ভারতীয় ফুটবলকে দ্রুত মুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি কেন্দ্রীয় সরকারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement