ভাইচুং ভুটিয়া। ফাইল চিত্র
সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগ করা প্রশাসক কমিটিকে (সিওএ) সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। সেই আর্জি মেনে নিলে প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যেতে পারে ভাইচুং ভুটিয়ার। তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ভাইচুংয়ের আবেদন, প্রশাসক কমিটির তৈরি করা খসড়া সংবিধানকেই মান্যতা দেওয়া হোক।
প্রশাসক কমিটি ভারতীয় ফুটবল পরিচালনার জন্য একটি খসড়া সংবিধান তৈরি করেছে। সেখানে প্রশাসনে প্রাক্তন ফুটবলারদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণ দেখিয়ে এআইএফএফ-কে নির্বাসিত করেছে ফিফা। এই তৃতীয় পক্ষ হল প্রশাসক কমিটি ও সুপ্রিম কোর্ট। তাই কেন্দ্রের আবেদন মেনে প্রশাসক কমিটিকে যদি সরিয়ে দেওয়া হয় তা হলে তাদের তৈরি করা খসড়া সংবিধানেরও কোনও গুরুত্ব থাকবে না।
সোমবার এআইএফএফ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তার আগের দিনই সুপ্রিম কোর্টের কাছে সিওএ-কে সরানোর আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। ফিফার সমস্ত দাবি মেনে নিতে চাইছে তারা। সিওএ-র হস্তক্ষেপ যেমন তুলে নিতে আবেদন করেছে, তেমনই প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকার না দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে প্রফুল্ল পটেলের নেতৃত্বে থাকা দলকে এআইএফএফ-এর অংশ না করার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র।
গত ১৬ অগস্ট ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠায় ফিফা। এর ফলে অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ ভারতে না হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এএফসি কাপের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতের বিভিন্ন দলের খেলার উপরেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিদেশি ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বাধা রয়েছে। সঙ্কট মেটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। ফিফার সব দাবি মেনে নিতে চাইছে তারা।
প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে এআইএফএফ-এর সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ভাইচুং। এআইএফএফ-এর এখনকার নিয়মে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে হলে তা কোনও রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে দিতে হবে। প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে দেওয়া যাবে না। ফলে খসড়া সংবিধান মান্যতা না পেলে ভাইচুংয়ের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই তড়িঘড়ি দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।