ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্ট সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে ফুটবলারদের ভোটাধিকার দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত ভাইচুং ভুটিয়া, জো পল আনচেরি, সন্দেশ জিঙ্ঘনরা। যদিও রাজ্য সংস্থাগুলি খুশি নয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ে।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ফেডারেশনের জেনারেল বডিতে ৩৬টি রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন। একইসঙ্গে ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলারও থাকবেন। এঁদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ১২ জন মহিলা হবেন। যাঁদের অন্তত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রাক্তন ফুটবলারদের সকলেরই ভোটাধিকার থাকবে। এই প্রসঙ্গে ভাইচুং বলেছেন, ‘‘প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকারের যে রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের দেশে অবসরের পরে ফুটবলারদের ভুলে যাওয়া হয়। খেলাধুলোর জগত থেকেও ব্রাত্য রাখা হয়। অথচ তাঁদের অনেক কিছু দেওয়ার রয়েছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এক জন ফুটবলারই অন্য ফুটবলারের যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে পারে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় অবসরের পরে ফুটবলারদের প্রাপ্য মর্যাদা দেবে।’’
এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের রক্ষণের অন্যতম ভরসা সন্দেশের মতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত ক্রীড়া প্রশাসনে খেলোয়াড়দের নিজস্ব মতামত দেওয়ার রাস্তা খুলে দেবে। তিনি বলেছেন, ‘‘অবসরের পরে ফুটবলারদের জীবনে বিকল্প পথের সন্ধান দেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়। এর ফলে ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত থাকবে ফুটবলারদের। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তাই স্বাগত জানাচ্ছি।’’
ফিফা ও এএফসি অবশ্য ফেডারেশন পরিচালনায় ৫০ শতাংশ ফুটবলার রাখার পক্ষে নয়। গত জুলাইয়ে ফিফা কংগ্রেসে ফুটবলারদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এআইএফএফ-র তরফে বলা হয়েছিল, পরিচালন সমিতিতে ৫০ শতাংশ প্রাক্তন ফুটবলার রাখার পরিকল্পনা বিচক্ষণতার পরিচয় হবে না।
ভারতীয় দলের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক জো পল আনচেরি বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে আমি উচ্ছ্বসিত। অবেশেষে প্রাক্তন ফুটবলাররা নিজেদের মতামত প্রকাশের সুযোগ পাবে। যাদের অবসরের পরে ভুলে যাওয়া হয়।’’ যোগ করেন, ‘‘অবসরের পরে ফুটবলাররা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করতে পারে।’’ জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলা গোলরক্ষক বাংলার সন্দীপ নন্দীর কথায়, ‘‘খেলাধুলোর ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তে গুরুত্ব পাবে প্রাক্তন ফুটবলাররা।”