সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে লড়ছেন ভাইচুং ভুটিয়া। ফাইল চিত্র
সর্বভারতীয় ফুটবলে ফেডারেশনের (এআইএফএফ) নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। সভাপতি পদে লড়ছেন। কিন্তু নিজের রাজ্যেরই ফুটবল সংস্থার সমর্থন পাননি ভাইচুং ভুটিয়া। এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ দেখছেন তিনি। সিকিম ফুটবল সংস্থার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
পরে অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে এআইএফএফ-এর নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ভাইচুং। তাঁকে সমর্থন করেছে রাজস্থান ফুটবল সংস্থা। সিকিম ফুটবল সংস্থাকে পাশে না পাওয়া নিয়ে প্রাক্তন ফুটবলারের অভিযোগ, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের চাপেই সেটা হয়নি। সাংবাদিক বৈঠকে ভাইচুং বলেন, ‘‘সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চার কয়েক জন নেতা সিকিম ফুটবল সংস্থাকে নির্বাচন থেকে পিছু হটতে বলেছে। ফুটবল সংস্থার প্রধান মেনলা এথেনপাকে আমার বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে।’’
এথেনপা নিজেও দুর্নীতিতে জড়িত, এই অভিযোগ তুলেছেন ভাইচুং। ১৬ বছর ধরে সিকিম ফুটবল সংস্থার দায়িত্বে রয়েছেন এথেনপা। অথচ ফুটবলের উন্নতির জন্য তিনি কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ ভাইচুংয়ের। তিনি বলেন, ‘‘এথেনপা যদি পাহাড়ের ফুটবলের উন্নতি চাইতেন, তা হলে নিজেই নির্বাচনে দাঁড়াতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। গত ১৬ বছর ধরে সিকিমের ফুটবলের কোনও উন্নতি হয়নি। ওঁর পদত্যাগ করা উচিত।’’
নির্বাচনের পরে দুর্নীতি নিয়ে এথেনপার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন ভাইচুং। তিনি বলেন, ‘‘এআইএফএফ নির্বাচনের পরে আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব। তৃতীয় কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে সিকিম ফুটবল সংস্থার আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানাব। এত দিন ধরে যে দুর্নীতি চলেছে তা বরদাস্ত করা যাবে না। পাহাড় থেকে যাতে আরও অনেক ফুটবলার উঠে আসে তার চেষ্টা করব।’’
২ সেপ্টেম্বর এআইএফএফ নির্বাচন। সভাপতি পদে ভাইচুংয়ের প্রতিপক্ষ আর এক প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে। গুজরাত ফুটবল সংস্থার হয়ে লড়ছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে বিজেপিরও সমর্থন রয়েছে কল্যাণের দিকে। তবে বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ ভাইচুং।