বেঙ্গালুরু-মহমেডান ম্যাচের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরের মাঠে হারতে হল মহমেডান স্পোর্টিংকে। যুবভারতীতে মহমেডানকে হারিয়ে প্রথম দল হিসাবে ডুরান্ড কাপের নকআউটে উঠল বেঙ্গালুরু এফসি। গ্রুপের তিনটি ম্যাচেই জিতেছেন সুনীল ছেত্রীরা। ১০ জনের মহমেডানের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু জেতে ৩-২ গোলে। তাদের হয়ে গোল করেন আলেকজ়ান্ডার জোভানোভিচ ও বিনিথ বেঙ্কটেশ। একটি আত্মঘাতী গোল করেন মহমেডানের দীপু হালদার। মহমেডানের হয়ে গোল করেন ইসরাফিল দেওয়ান ও মহীতোষ রায়।
প্রথম একাদশে পাঁচটি বদল করেছিল বেঙ্গালুরু। জর্জে পেরেরা দিয়াজ়, মহম্মদ সালাহ্, বিনিথদের শুরু থেকে খেলানো হয়। মহমেডানের প্রথম একাদশে তরুণ ফুটবলার বেশি ছিলেন। ম্যাচের সাত মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। সালাহ্র কর্নার থেকে ভাসানো বল হেড করেন চিংলেননাসা সিংহ। সেই বল থেকে হেডে গোল করেন জোভানোভিচ।
গোল করার পরেও ক্রমাগত চাপা বাড়াচ্ছিল বেঙ্গালুরু। একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে তারা। ২২ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণ থেকে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। পেরেরার শট বার করতে গিয়ে জালে জড়িয়ে দেন দীপু। ২-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় বেঙ্গালুরু।
দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসাবে নামেন সুনীল। বেঙ্গালুরুর কোচের পরিকল্পনা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কোনও ভাবেই আক্রমণ কমাতে চাইছেন না। ৬০ মিনিটের মাথায় খেলার ভাগ্য প্রায় নিশ্চিত করে দেয় বেঙ্গালুরু। আলবার্তো নগুয়েরার কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন বিনিথ।
তিন গোলে পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েনি মহমেডান। ৭৭ মিনিটের মাথায় খেলার গতির বিপরীতে এক গোল শোধ করেন ইসরাফিল। অ্যাশলে কোলির ক্রস থেকে গোল করেন তিনি। সমর্থকেরা আশার আলো দেখলেও মহমেডানকে ধাক্কা দেয় গোলরক্ষক শুভজিৎ ভট্টাচার্যের লাল কার্ড। পেরেরাকে ফাউল করায় মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। তত ক্ষণে সব পরিবর্ত নামিয়ে ফেলেছিলেন মহমেডানের কোচ। ফলে ডিফেন্ডার দীপুকে গোলরক্ষকের দস্তানা পরতে হয়।
ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে ৪০ গজ দূর থেকে জোরালো শটে গোল করেন মহমেডানের মহীতোষ। বাকি সময়ে আর গোল করতে পারেনি মহমেডান। জিতে নকআউটে জায়গা করে নেয় বেঙ্গালুরু। তবে এখনও মহমেডানের নকআউটে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তার জন্য গ্রুপের শেষ ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হবে তাদের।