Antonio Lopez Habas

ATKMB: রক্ষণ মেরামতে ব্যস্ত হাবাস

মঙ্গলবার অনুশীলনে হাবাস ফুটবলারদের কাছে বিপক্ষের এই দুই খেলোয়াড়ের শক্তি-দুর্বলতা নিয়েও ব্যাখ্যাও করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৪৭
Share:

সতর্ক: হাবাসের কপালে ভাঁজ রক্ষণ ও মাঝমাঠ নিয়ে। ফাইল চিত্র।

বড় ম্যাচের প্রস্তুতি সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এটিকে-মোহনবাগানে। রাতে হোটেলের ঘরে ফুটবলারদের সঙ্গে বসে ফের এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলার ভিডিয়ো বিশ্লেষণ একপ্রস্ত সেরে রেখেছিলেন এটিকে-মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। সেই মতো ঐতিহ্যের ডার্বি জিতে ফেরার মহড়া মঙ্গলবার থেকে মাঠে শুরু করলেন রয় কৃষ্ণদের কোচ।

Advertisement

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের প্রথম খেলার ভিডিয়ো বিশ্লেষণের পরে দু’টি নাম নোটবুকে উঠে গিয়েছে হাবাসের। যার প্রথম নামটি হল এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ ভাগের ফুটবলার আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ। আর দ্বিতীয় নামটি হল বিপক্ষের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য।

মঙ্গলবার অনুশীলনে হাবাস ফুটবলারদের কাছে বিপক্ষের এই দুই খেলোয়াড়ের শক্তি-দুর্বলতা নিয়েও ব্যাখ্যাও করেছেন। পেরোসেভিচ যেমন বল ধরে খেলেন। একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে বেরোতে পারেন। পাশাপাশি, চকিতে বল ধরে দিক পরিবর্তন করে পাস বাড়াতেও বেশ দক্ষ। তাই এই ফুটবলারটিকে ডার্বিতে কড়া নজরে রাখতে হবে এবং দিক পরিবর্তন করে পাস দেওয়ার জায়গা দেওয়া চলবে না। মাঝমাঠেই তাঁকে বোতলবন্দি করে ফেলতে হবে। এ দিন ফুটবলারদের সেই বিষয় বুঝিয়ে দেন হাবাস। তবে কাকে তিনি পেরোসেভিচকে নিষ্ক্রিয় করার দায়িত্ব দেবেন ডার্বিতে, তা নিয়ে কিছু আভাস দেননি। গোলকিপার অরিন্দম গত বছর তাঁর দলেই ছিলেন। তাই রয় কৃষ্ণ, প্রীতম কোটালের জানেন, অরিন্দম শূন্যে ও মাটি ঘেঁসা বলে ভালই গোলরক্ষা করেন। বল ধরে ফুটবলারদের আক্রমণ গড়তে তা বাড়িয়ে দেওয়া বা দলকে উৎসাহ দিতে বেশ দক্ষ তিনি। কিন্তু দুই প্রান্ত থেকে ক্রস ভেসে এলে বা একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে কিছুটা নড়বড়ে এই গোলকিপার। এ দিন এ সংক্রান্ত পাঠও ফুটবলারদের অনুশীলনে দিয়ে
দেন হাবাস।

Advertisement

এটিকে-মোহনবাগান কোচের সুবিধা, তাঁর দলের ৮০ শতাংশ ফুটবলার জানেন ডার্বির গুরুত্ব। এ বার আক্রমণে লিস্টন কোলাসো, হুগো বুমোস যোগ দেওয়ায় গোল করা নিয়ে হাবাস চিন্তিত নন। বরং স্পেনীয় কোচের কপালের ভাঁজ বাড়িয়েছে তাঁর রক্ষণ ও মাঝমাঠের অবস্থা। যা প্রথম ম্যাচে দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছে কেরল ব্লাস্টার্সের মতো দল। এটিকে-মোহনবাগানের মাঝমাঠে লেনি রদ্রিগেসদের সঙ্গে রক্ষণের সেতুবন্ধন হচ্ছে না। তাঁদের বক্সে বিপক্ষের আক্রমণের সময় ৪-৪-২ ছকে বা ৪-৫-১ ছকে হচ্ছে শুভাশিস বসুরা। কিন্তু সেই সময়ে দুই স্টপার এবং স্টপারের সঙ্গে সাইডব্যাকদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে যা বার বার দেখা গিয়েছে। সে দিন রাহুল কে পি বসে না গেলে কার্ল ম্যাকহিউদের রক্ষণে সমস্যা বাড়তে পারত। এমনকি দুই প্রান্ত থেকে মাটি ঘেঁসা মাইনাস বা শূন্যে বল ভেসে এলেও রক্ষণের দুর্বলতা ধরা পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে তিরিকে রক্ষণে ফেরানোর দাবি উঠেছিল। কিন্তু গোয়া থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, হাবাস এখনই তিরিকে রক্ষণে চাইছেন না। ফলে ডার্বিতে তিরির দলে ফেরার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ।

এই জায়গাগুলোই পরবর্তী তিন দিনে শুধরে নেওয়ার পালা চলবে। এ দিনও রক্ষণ সংগঠনের অনুশীলন হয়েছে। মাঝমাঠ থেকে হুগোর ঠিকানা লেখা পাস ও কৃষ্ণ-লিস্টনদের তা লক্ষ্য করে ঠিক জায়গায় গিয়ে গোল করার ক্ষেত্রে চিন্তা নেই হাবাসের। বড় ম্যাচের আগে তাই রক্ষণের মেরামতই শুরু করে দিয়েছেন দু’বার আইএসএল জয়ী কোচ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement