নজরে: ডার্বিতে খেলতে পারেন সুসাইরাজ। এটিকে-মোহনবাগান
গতি চাই গতি! ইন্ডিয়ান সুপার লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শনিবার ৯০ মিনিট যেন গতিতে খামতি না হয়। শতবর্ষ প্রাচীন ডার্বি ম্যাচের আগে এ কথাই পাখি পড়ার মতো লিস্টন কোলাসো, রয় কৃষ্ণদের বুঝিয়ে চলেছেন তাঁদের দু’টি আইএসএল খেতাবজয়ী কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস।
আর এ ব্যাপারে হাবাসের অঙ্ক কতটা তৈরি, তার আভাস মিলছে দলের গতিময় তামিল ফুটবলার মাইকেল সুসাইরাজকে ডার্বির ১৮ জনের দলে রাখায়। এই সেই সুসাইরাজ, যিনি ২০১৭-১৮ মরসুমে আই লিগের সেরা মাঝমাঠের ফুটবলার হয়েছিলেন চেন্নাই সিটি এফসি-র জার্সি গায়ে খেলে। তার পরে আইএসএলে পা রেখে জামশেদপুর এফসি ঘুরে ২০১৯-২০ সালে গায়ে দিয়েছিলেন এটিকে-র জার্সি। সে বার হাবাসের দলের আইএসএল খেতাব জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন সুসাইরাজই। গত বার মাঝমাঠে বাঁ প্রান্তে তাঁকে রেখেই এটিকে-মোহনবাগান দল সাজিয়েছিলেন স্পেনীয় গুরু। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে চোট পেয়ে প্রতিযোগিতার বাইরে চলে যান।
যদিও এটিকে-মোহনবাগান দল পরিচালন সমিতি সুসাইরাজের এই দুঃসময়ে তাঁকে দল থেকে ছাঁটাই করে দেয়নি। অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ করে পুনর্বাসনের মাধ্যমে ফের তাঁকে দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য হিসেবে ফিরিয়েছেন হাবাস। এএফসি কাপেই আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে আল নাসাফ এফসি-র বিরুদ্ধে ২২ জনের দলে সুসাইরাজকে রেখে বার্তা দিয়েছিলেন আইএসএলে এ বার তাঁকে ব্যবহার করবেন। যা ডার্বি থেকেই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সুসাইরাজ বল ছাড়া ও বল-সহ ফুটবল খেলতে একইরকম দক্ষ। গতি বেশ ভাল। বাঁ প্রান্ত থেকে বিপক্ষের বক্সে যেমন বিষাক্ত সব ‘ক্রস’ ভাসিয়ে দিতে পারেন, তেমনই প্রান্ত থেকে কাট করে সোজা বিপক্ষের গোলমুখে ধেয়ে গিয়ে কখনও জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন, কখনও রয় কৃষ্ণদের গোলের বল বাড়িয়ে বিপক্ষের চাপ বাড়ান। এ ছাড়াও এই উইঙ্গারের একটা বড় গুণ বিপক্ষের আক্রমণের সময়ে নিচে নেমে এসে রক্ষণকেও নির্ভরতা দেওয়াটা। সে কারণেই ডার্বির সবুজ-মেরুন দলে সুসাইরাজকে রেখেছেন হাবাস। তামিলনাড়ুর ফুটবলারটি গত ক’দিন দলের সঙ্গে অনুশীলনেও নজর কেড়েছেন। এটিকে-মোহনবাগানের অন্দরমহল থেকে যে খবর ভেসে আসছে, তাতে সুসাইরাজকে প্রথম দলে দেখতে না পাওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। ডার্বিতে বাঁ দিকে হয়ত শুরু করবেন আগের ম্যাচে কেরলের বিরুদ্ধে গোল পাওয়া লিস্টন কোলাসোই। দ্বিতীয়ার্ধে লিস্টন ক্লান্ত হলেই তরতাজা সুসাইরাজকে নামিয়ে ম্যানুয়েল দিয়াসের এসসি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে চাপ বাড়াবেন হাবাস। যাতে লিস্টন উঠে যাওয়ার পরে তাদের ডান প্রান্ত দিয়ে হইহই করে না আক্রমণে আসতে পারে এসসি ইস্টবেঙ্গল।