দুই দলের ফুটবলারদের দাপট। ফাইল ছবি
বুধবার এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। এই প্রতিযোগিতার জন্য মে মাসেই ২৫ জনের দল ঘোষণা করা হয়েছে। মাঝে একটি বদল ছাড়া কোচ ইগর স্তিমাচের ঘোষিত দল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, দাপট এটিকে মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি-র ফুটবলারদেরই। এটিকে মোহনবাগান থেকে সাত জন এবং বেঙ্গালুরু থেকে ছ’জন ফুটবলার জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন। অর্থাৎ, জাতীয় দলের ৫২ শতাংশ ফুটবলার এই দু’টি ক্লাবের কোনও একটিতে খেলেন। প্রথম একাদশের ক্ষেত্রে সামান্য হলেও এগিয়ে থাকতে পারেন এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা।
এটিকে মোহনবাগান থেকে যে সাত জন জাতীয় দলে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা হলেন— অমরিন্দর সিংহ, সন্দেশ জিঙ্ঘন, শুভাশিস বসু, প্রীতম কোটাল, লিস্টন কোলাসো, দীপক টাংরি এবং মনবীর সিংহ। বেঙ্গালুরু এফসি-র ফুটবলাররা হলেন— গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু, রোশন সিংহ, উদান্ত সিংহ, সুরেশ ওয়াংজাম, আশিক কুরুনিয়ান এবং সুনীল ছেত্রী। তিন জন করে ফুটবলার রয়েছেন হায়দরাবাদ এফসি, কেরল ব্লাস্টার্স এবং এফসি গোয়া থেকে। এক জন করে ফুটবলার রয়েছেন মুম্বই সিটি এফসি, জামশেদপুর এফসি এবং চেন্নাইয়িন এফসি থেকে। দেখা যাচ্ছে, আই লিগে খেলা কোনও ফুটবলারই স্তিমাচের জাতীয় দলে জায়গা পাননি।
ইতিহাস বলে, জাতীয় দলে বরাবরই এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলারদের প্রাধান্য থাকে। দেশজ ফুটবলারদের পছন্দ করে দল পরিচালন সমিতি। প্রতি মরসুমে বিভিন্ন দল থেকে বাছাই করা ফুটবলারদের সই করানো হয়। সে কারণেই মুম্বই সিটি থেকে বছর দুয়েক আগে নেওয়া হয়েছিল অমরিন্দরকে। একই ভাবে গোয়া থেকে রেকর্ড অর্থে নেওয়া হয়েছে লিস্টনকে। বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এক। দেশের এক নম্বর গোলকিপার গুরপ্রীত এবং প্রধান স্ট্রাইকার সুনীল— দু’জনেই খেলেন বেঙ্গালুরুর হয়ে। মাঝমাঠের অন্যতম সেরা ফুটবলার উদান্তও বেঙ্গালুরুতে খেলেন। পাশাপাশি, তরুণ প্রতিভা তুলে আনার ক্ষেত্রেও বিকল্প নেই বেঙ্গালুরুর।
তথ্য বলছে, সব পজিশনেই এটিকে মোহনবাগানের কোনও না কোনও ফুটবলার রয়েছেন। গোলরক্ষকের তালিকায় অমরিন্দর সিংহ। ডিফেন্সে সুযোগ পাওয়া সন্দেশ, প্রীতম, শুভাশিস, তিন জনই দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। মিডফিল্ডে রয়েছেন দীপক টাংরি এবং লিস্টন কোলাসো। স্ট্রাইকার হিসাবে রয়েছেন মনবীর সিংহ। আইএসএল-জয়ী হায়দরাবাদ থেকে সুযোগ পাওয়া তিন ফুটবলার হলেন গোলকিপার লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমণি, ডিফেন্ডার আকাশ মিশ্র এবং মিডফিল্ডার ইয়াসির মহম্মদ।
জামশেদপুর থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন বাঙালি ফুটবলার ঋত্বিক দাস। তবে দোহায় খেলার পর দেশে ফিরে চিকেন পক্স হয়েছে তাঁর। ঋত্বিকের বদলে নেওয়া হয়েছে টাংরিকে। না হলে এটিকে মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু, দু’দলেরই ছ’জন করে ফুটবল থাকত দলে। আর এক জনকে নিয়েও ধন্দ রয়েছে। তিনি আশিক কুরুনিয়ান। বেঙ্গালুরু থেকে এটিকে মোহনবাগানে তাঁর যোগ দেওয়া কার্যত নিশ্চিত। তবে কোনও দলের তরফেই এখনও বিষয়টি সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তাই এই তালিকায় তাঁকে রাখা হয়েছে বেঙ্গালুরুর ফুটবলার হিসাবেই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।