লিয়োনেল মেসি। —ফাইল চিত্র
আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই নজির গড়েছেন লিয়োনেল মেসি। দেশ ও ক্লাব মিলিয়ে নিজের কেরিয়ারে ১০০টি বিভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোল করেছেন তিনি। শুরুটা হয়েছিল ২০০৪-০৫ মরসুমে। পরের ১৯ বছরে এই নজির গড়েছেন লিয়ো।
মেজর সকার লিগের ক্লাবে দু’টি ম্যাচে তিনটি গোল করেছেন মেসি। অভিষেক ম্যাচে ক্রুজ় আজুলের বিরুদ্ধে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন তিনি। পরের ম্যাচে আটলান্টা ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেছেন মেসি। পরে একটি গোল করিয়েওছেন। আটলান্টার বিরুদ্ধে গোল করে নজির গড়েছেন মেসি।
২০০৪-০৫ মরসুমে আলবাসেতের বিরুদ্ধে বার্সেলোনার হয়ে কেরিয়ারের প্রথম গোল করেছিলেন মেসি। ৮৭ মিনিটের মাথায় পরিবর্ত হিসাবে নেমে রোনাল্ডিনহোর পাস থেকে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে গোল করেন তিনি। বার্সেলোনার প্রধান দলের হয়ে খেলার আগে গ্রান্দোলি, নিউওয়েল ওল্ড বয়েজ ও বার্সেলোনা যুব দলের হয়ে খেলেছেন মেসি। ২০০৩ সালে বার্সেলোনা সি দলের হয়ে ১০টি ম্যাচে ৫টি গোল করেছিলেন তিনি। বার্সেলোনার বি দলের হয়ে ২২টি ম্যাচে ৬টি গোল করেছিলেন। ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর বার্সেলোনার সিনিয়র দলে অভিষেক হয় মেসির। কিন্তু প্রথম গোল পেতে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে।
২০২১ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন মেসি। এই সময়ে স্পেনের ক্লাবের হয়ে ৫২০টি ম্যাচে ৪৭৪টি গোল করেছেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে মোট ৩৪টি ট্রফি জিতেছেন মেসি। তার মধ্যে ১০টি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও সাতটি কোপা ডেল রে রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ ও সাতটি স্প্যানিশ সুপার কাপও জিতেছেন লিয়ো। দু’টি মরসুমে ত্রিমুকুট জিতেছেন মেসি।
দেশের হয়ে দীর্ঘ দিন কোনও ট্রফি না জিতলেও ২০২১ সাল থেকে ছবিটা বদলেছে। সেই বছর কোপা আমেরিকা জিতেছেন মেসি। সেই বছরই ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইটালিকে হারিয়ে জিতেছেন ফাইনালিসিমা। পরের বছর নিজের জীবনের সব থেকে বড় ট্রফি জিতেছেন মেসি। কাতারে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছেন মেসি। আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচ বাদে ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচে গোল করেছেন মেসি। বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।