লিয়োনেল মেসি। —ফাইল চিত্র।
জাতীয় দলের পর ক্লাবের হয়েও হ্যাটট্রিক করলেন লিয়োনেল মেসি। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। তাঁর হ্যাটট্রিকের সুবাদে মেজর লিগ সকারের ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ডকে ৬-২ ব্যবধানে হারাল ইন্টার মায়ামি। দু’টি গোল করেছেন লুইস সুয়ারেজ়ও। ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও জয় তুলে নিলেন মেসিরা।
নিউ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তাদেরই রেকর্ড ভাঙলেন মেসিরা। ২০২১ সালে মেজর লিগ সকারে নিউ ইংল্যান্ড সর্বোচ্চ ৭৩ পয়েন্ট পেয়েছিল। শনিবারের ম্যাচের পর মায়ামির পয়েন্ট হল ৭৪। দেশের হয়ে বলিভিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলে ফেরা মেসিকে প্রথম একাদশে রাখেননি মায়ামি কোচ। ৩৭ বছরের স্ট্রাইকারের ধকল কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জেরার্দো মার্তিনো। ম্যাচের শুরুতে দাপট ছিল নিউ ইংল্যান্ডেরই। ৩৪ মিনিটের মধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। ২ মিনিটের মাথায় গোল করেন লুকা লাঙ্গোনি। ৩৪ মিনিটে নিউ ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান বৃদ্ধি করেন ডিলান বোরেরো। পিছিয়ে পড়ার পর সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন মায়ামির ফুটবলারেরা। ৪০ এবং ৪৩ মিনিটে পর পর দুই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সুয়ারেজ়। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ২-২ ফলে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি করেন মায়ামি। নিউ ইংল্যান্ডের আর কোনও প্রতিরোধ কাজে আসেনি। ৫৮ মিনিটে মায়ানিকে এগিয়ে দেন বেঞ্চামিন ক্রিমাশ্চি। মেসি নামার পর আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে মায়ামি। যদিও ৭২ মিনিটে নিউ ইংল্যান্ডের একটি গোল বাতিল করেন রেফারি। এর পর ৭৮, ৮১ এবং ৮৯ মিনিটে তিন গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন লিয়ো। প্রথম গোলটি করেন বন্ধু সুয়ারেজ়ের কাছ থেকে বল পেয়ে। দ্বিতীয় গোলটির ক্ষেত্রেও মেসি সাহায্য পান বার্সেলোনার পুরনো সতীর্থ জর্জি আলবার। তৃতীয় গোলটিও মেসি করেন সুয়ারেজ়ের পাস থেকে। প্রতিযোগিতায় ১৯ ম্যাচে ২০টি গোল হয়ে গেল মেসির।
ম্যাচ শেষে মেসিকে পরিবর্ত হিসাবে নামানো নিয়ে মায়ামির কোচ মার্তিনো বলেছেন, ‘‘বড় চোট থেকে সেরে ওঠা এবং আবার খেলানোর ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হয়েছে। জাতীয় দল এবং আমরা মেসিকে নিয়ে সতর্ক ছিলাম।’’