মাঠে ঢুকে পড়া মরক্কোর সমর্থককে আটকাচ্ছেন এক পুলিশকর্মী। ছবি: রয়টার্স।
প্যারিস অলিম্পিক্সে মরক্কো বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচে বিশৃঙ্খলা। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর আগেই মাঠে শুরু হয়ে যায় বোতলবৃষ্টি। ফুটবলারদের দিকে লক্ষ্য করে উড়ে এল আতসবাজি। মাঠে ঢুকে পড়েন মরক্কোর সমর্থকেরা। ম্যাচ শেষই করা গেল না। প্যারিস অলিম্পিক্সের অফিশিয়াল সাইটে ম্যাচটি ‘বিঘ্নিত’ বলে লেখা রয়েছে।
মরক্কোর বিরুদ্ধে ৬৭ মিনিট পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল লিয়োনেল মেসির দেশ। সদ্য কোপা জয়ী দেশের বিরুদ্ধে তখন জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন মরক্কোর সমর্থকেরা। ৬৮ মিনিটে একটি গোল শোধ করেন জিউলিয়ানো সিমিয়নে। নির্ধারিত সময়ে এগিয়ে ছিল মরক্কো। কিন্তু ম্যাচে ১৫ মিনিট সংযুক্তি সময় দেওয়া হয়। সেই সময়ের শেষ মিনিটে গোল করেন মেদিনা। তাঁর করা গোলেই সমতা ফেরায় আর্জেন্টিনা। তার পরেই শুরু বোতলবৃষ্টি।
মরক্কোর সমর্থকেরা আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের লক্ষ্যে করে বোতল ছুড়তে শুরু করেন। সেই সঙ্গে মাঠের মধ্যে ফুটবলারদের দিকে উড়ে আসে আতসবাজি। মাঠের মধ্যেই সেই বাজি ফাটে। চমকে ওঠেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারেরা। কেউ আহত হয়েছেন কি না এখনও জানা যায়নি। মাঠের মধ্যে মরক্কোর সমর্থকেরাও ঢুকে পড়েন। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর আগেই ম্যাচ আচমকা থেমে যায়। তাই ম্যাচটি বিঘ্নিত হিসাবে দেখানো হচ্ছে। এই ম্যাচের ফলাফল কী হবে তা এখনও জানাননি আয়োজকেরা। ২-২ গোলে শেষ হলে পয়েন্ট ভাগ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
ফ্রান্সের সেন্ট এটিনে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা এবং মরক্কো। সংযুক্তি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে মেদিনা গোল করায় রেগে যান মরক্কোর সমর্থকেরা। তাঁরা এতটাই বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন যে, মাঠে পুলিশ নামে। গ্যালারি খালি করিয়ে দেওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে মাঠে যে সমর্থকেরা ঢুকে পড়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নজর থাকবে ম্যাচের ফলাফল কী হল সেই দিকেও।