তিন বারের বিশ্বকাপজয়ী পেলের মৃত্যুর পর একটি বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার মেসির শোকবার্তা। ছবি: ফেসবুক
এক কিংবদন্তির বিদায়। পেলে সম্পর্কে এই বিশেষণ ব্যবহার করা যায় নিশ্চিন্তে। তিনটি বিশ্বকাপজয়ী পেলে শুধু মাত্র ফুটবল তারকা নন, তিনি ক্রীড়াবিশ্বের এক অনন্য নাম। যুগের পর যুগ যাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে। সেই মহাতারকা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রয়াত। পেলের মৃত্যুতে শোকাহত লিয়োনেল মেসি।
সদ্য বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে। বহু অপেক্ষার পর যে ট্রফি ছুঁয়েছেন মেসি। এক বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার তিন বারের বিশ্বকাপজয়ীর মৃত্যুর পর লেখেন, “শান্তিতে বিশ্রাম নাও।” সেই সঙ্গে মেসি পোস্ট করেছেন তাঁর এবং পেলের দু’টি ছবি। সঙ্গে পেলের গোলের পর উচ্ছ্বাসের ছবি। যদিও এই মেসি সম্পর্কে এক সময় পেলের মুখে তারিফ শোনা যেত না। এমনকি পেলে মনে করতেন মেসির থেকে নেমার ভাল ফুটবলার।
এক অনুষ্ঠানে পেলে বলেছিলেন, “সকলে মেসির সম্পর্কে কথা বলছে। ও একজন তারকা। কিন্তু মেসিকে যদি সর্বকালের সেরা হতে হয় তা হলে প্রথমে নেমারের থেকে ভাল হতে হবে।” যদিও আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর মেসির প্রশংসা করেন পেলে। হাসপাতাল থেকেই তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বরাবরের মতো ফুটবল তার গল্প বলেই চলেছে। খুবই চিত্তাকর্ষক ভাবে গল্প বলছে ফুটবল। মেসি প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতল। ওর ফুটবলের যা গতিপথ, তাতে এটা ওর প্রাপ্যই ছিল। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা। দিয়েগো (মারাদোনা) এখন নিশ্চয়ই হাসছে।’’ লেখার সঙ্গে মেসিদের উল্লাসের ছবি দিয়েছেন তিনি।
২০২১ সাল থেকে অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। কাতার বিশ্বকাপের সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৯ নভেম্বর তাঁকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২২ ডিসেম্বর ক্যানসারের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যায়। বড়দিনে এ বছর হাসপাতালেই কাটিয়েছিলেন পেলে। বিছানায় অসুস্থ বাবাকে জড়িয়ে ধরে ছবি গণমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন তাঁর কন্যা কেলি। গত শনিবার হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর ছেলে এডিসনও। গত কয়েকদিন ধরে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে তাঁর পাশেই ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ডাক্তাররা সুস্থ করে তুলতে পারলেন না ফুটবল সম্রাটকে। চিরনিদ্রার দেশে চলে গেলেন পেলে।