কোপা জিতে ট্রফিতে চুমু দি মারিয়ার। ছবি: রয়টার্স।
আর্জেন্টিনা যখন কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জিতছে তখন অধিনায়কের আর্ম ব্যান্ড তাঁর হাতে। লিয়োনেল মেসির সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনিও। চ্যাম্পিয়ন হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে অবসর জানিয়েছেন। কোচ লিয়োনেল স্কালোনির অনুরোধও শোনেননি। কোপা জিতে দি মারিয়া জানিয়েছেন, এই জয় আগে থেকেই লেখা ছিল।
কোপা জিতে দি মারিয়া বলেন, “এই জয় আগে থেকেই লেখা ছিল। আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম। দলের সকলকে সে কথা বলেছিলাম। খুব আনন্দ হচ্ছে।” কেরিয়ারের প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ট্রফি জিততে না পারলেও ধীরে ধীরে সময় বদলেছে। গত চার বছরে চারটি ট্রফি জিতেছেন দি মারিয়া। এই সাফল্যের নেপথ্যের পরিশ্রমকে তুলে ধরেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার ফুটবলার বলেন, “দেখে মনে হয় খুব সহজ। কিন্তু এতগুলো ট্রফি জেতা সহজ নয়। আগে তো উল্টো দিকেই থাকতাম। এই প্রজন্মের কাছে কৃতজ্ঞ। ওরা আমাদের আনন্দ করার এতগুলো সুযোগ করে দিয়েছে। আগের প্রজন্মও ট্রফির যোগ্য ছিল। ওদের সঙ্গে কিছু জিততে পারলে খুব ভাল লাগত।”
দি মারিয়াকে আটকানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন দলের কোচ স্কালোনি। কিন্তু পারেননি। তিনি বলেন, “দি মারিয়া আমাদের হয়ে অনেক ভাল ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু এই ম্যাচটা সেরা ছিল। যখন ওর পা চলছিল না, তখনও ২৫ বছরের তরুণের মতো দৌড়াচ্ছিল। ও এক জন কিংবন্তি। ওকে অনেক অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু ওকে ফেরানোর কোনও উপায় নেই। আমরা চাইছি, আর একটা ম্যাচ খেলে দি মারিয়া অবসর নিক। তা হলে ওকে সংবর্ধনা জানানো যাবে। ও এই সম্মানের যোগ্য।”
২০২২ সালের বিশ্বকাপে প্রায় প্রতিটি ম্যাচই ৬০ মিনিট মতো খেলেছেন দি মারিয়া। তার পরেই তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু কোপা ফাইনালে শেষ পর্যন্ত খেললেন। লিয়োনেল মেসি চোট পেয়ে উঠে যাওয়ার পরে আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আক্রমণ করেন। আরও একটি ট্রফি জেতেন। তার পরেই আর্জেন্টিনার হয়ে ফুটবলকে বিদায় জানালেন তিনি।
(ভ্রম সংশোধন: এই প্রতিবেদনের শেষ অনুচ্ছেদে প্রথমে ক্রিকেট বিশ্বকাপের কথা লেখা হয়েছিল। কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপের কথা বলা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)