আনোয়ার আলি। — ফাইল চিত্র
নতুন মরসুম শুরুর আগে শক্তি বাড়িয়েই চলেছে মোহনবাগান। রবিবার তারা সই করাল আনোয়ার আলিকে। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হল ভারতীয় দলে নিয়মিত খেলা এই ডিফেন্ডারের নাম। তবে কত দিনের চুক্তিতে এবং কত টাকায় সই করানো হয়েছে তা জানানো হয়নি। আনোয়ার দলে আসায় মোহনবাগানের রক্ষণ আরও শক্তিশালী হল। প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসু, ব্রেন্ডন হামিল, আর্মান্দ সাদিকুর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলবেন তিনি।
পঞ্জাবের এই ফুটবলারকে অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় আসতে হয়েছে। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলা এই ফুটবলারের পেশাদার জীবন এক সময় শেষ হতে বসেছিল। তাঁর বুকে একটি বিরল রোগ ধরা পড়ে। ডাক্তাররা ফুটবল খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন। ভারতীয় ফুটবল সংস্থাও তাঁকে নির্বাসিত করে। আনোয়ার আদালতে আবেদন করেছিলেন খেলতে দেওয়ার। আদালত সেই নির্দেশ দেয়। এর পর ধীরে ধীরে বিভিন্ন ক্লাব ঘুরে যোগ দিলেন মোহনবাগানে।
মিনার্ভা পঞ্জাব থেকে উঠে এসেছেন আনোয়ার। স্ট্রাইকার হিসাবে জীবন শুরু করলেও ছ’ফুট উচ্চতার কারণে সেখানকার কোচেরা তাঁকে স্টপারে খেলানোর পরামর্শ দেন। তাই ডিফেন্ডার হিসাবে খেললেও উঠে আগে প্রয়োজনে গোলও করতে পারেন আনোয়ার। দিল্লি এফসি-র হয়ে ডুরান্ড কাপ এবং আই লিগের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভাল খেলার পর তাঁকে সই করায় এফসি গোয়া। তার আগে কিছু দিনের জন্যে তিনি খেলেছিলেন মহমেডানের হয়ে। গোয়াতেই শেষ ১৫ মাস কাটিয়েছেন আনোয়ার। ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলার সুবাদে জাতীয় দলেও নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন তিনি। যুব ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে অনূর্ধ্ব-২০ আর্জেন্টিনা দলের বিরুদ্ধে গোল করেছেন তিনি।
মোহনবাগানে সই করে আনোয়ার জানিয়েছেন, সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলা স্বপ্ন ছিল বহু দিন। বলেছেন, “মোহনবাগান সব থেকে প্রাচীন ক্লাব। অনেক নামী ফুটবলার খেলেছেন এখানে। সেই জার্সিতে মাঠে নামার কথা ভেবেই উত্তেজিত। সই করার পর প্রচুর সমর্থকের বার্তা পেয়েছি। সবাই আমার পাশে রয়েছেন।”
মোহনবাগানে তাঁর তিন লক্ষ্য নিয়ে আনোয়ার বলেছেন, “প্রথম বার কলকাতা ডার্বি খেলব, যা বহু দিনের স্বপ্ন। দ্বিতীয়ত, কখনও আইএসএল জিতিনি। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে চাই। তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোহনবাগানকে সাফল্য এনে দিতে চাই।”