এই মরসুমে ইন্ডিয়ান উওমেন্স লিগ জয় করার পরে ট্রফি হাতে ওড়িশার ফুটবলারেরা। ছবি: সংগৃহীত।
দু’বছর আগেও ছবিটা এ রকম ছিল না। ভারতে মহিলা ফুটবলারদের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২১ মাসে নথিভুক্ত মহিলা ফুটবলার বেড়েছে ১৬,২১২ জন। বৃদ্ধির হার ১৩৮ শতাংশ। এই বৃদ্ধিতে খুশি সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)। যে ভাবে মহিলা ফুটবলারদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী দিনে দেশের মহিলা ফুটবলের উন্নতি নিয়ে নিশ্চিত ফেডারেশন সচিব কল্যাণ চৌবে।
এআইএফএফ-এর সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন মাসে ভারতে নথিভুক্ত মহিলা ফুটবলার ছিলেন ১১,৭২৪ জন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তা হয়েছে ২৭,৯৩৬ জন। অর্থাৎ, গত ২১ মাসে ১৩৮ শতাংশ বেড়েছে নথিভুক্ত মহিলা ফুটবলারের সংখ্যা।
এই বিষয়ে কল্যাণ বলেন, “ভারতে এই ছবি খুবই ইতিবাচক। ১৬,২১২ জন নতুন মহিলা ফুটবলার এসেছে। তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ভারতের মহিলা ফুটবল সঠিক পথেই এগোচ্ছে। মহিলা ফুটবলারদের জন্য ভাল পরিবেশ ও পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করেছে ফেডারেশন। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।” ভারতে ‘ইন্ডিয়ান উওমেন্স লিগ’ শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ফলেই আরও বেশি মহিলা ফুটবলে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। মহিলা ফুটবলকে আরও প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য চলতি মরসুম থেকে ‘ইন্ডিয়ান উওমেন্স লিগ ২’ শুরু করেছে ফেডারেশন।
ইন্ডিয়ান উওমেন্স লিগে প্রথম তিন বছর জিতেছে গোকুলম কেরল। গত মরসুমে আমদাবাদে ১৬টি দলের মধ্যে খেলা হয়েছিল। চলতি মরসুম থেকে হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে খেলা শুরু হয়েছে। এ বার জিতেছে ওড়িশা এফসি। গোকুলমের তিন বছরের দাপটে ইতি টেনেছে তারা। ইন্ডিয়ান উওমেন্স লিগ ২-এর প্রথম মরসুমে ১৫টি ক্লাব অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে ছ’টি দল ফাইনাল রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে। আগামী মাসে কলকাতায় হবে সেই প্রতিযোগিতা।
কল্যাণ জানিয়েছেন, উন্নতির দিকে সবে পা ফেলা শুরু করেছেন তাঁরা। এখনও পথ অনেকটা বাকি। তিনি বলেন, “গত ১৬-১৮ মাস ধরে ছোট ছোট পদক্ষেপ করেছি। তারই ফল পাচ্ছি। ভারতে মহিলা ফুটবলের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। ঘরোয়া প্রতিযোগিতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফুটবলারেরা অনেক সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য এএফসি উওমেন্স কাপে ভারতের ক্লাবের সুযোগ পাওয়া। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি আমরা। আশা করি আগামী দিনে সেই লক্ষ্যও আমরা পূরণ করব।”