— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইগর স্তিমাচের অনুরোধে কাজ হবে কি না, সময়ই বলবে। আপাতত ভারতের ফুটবল ক্লাবগুলো চলছে নিজের মর্জিতে। জাতীয় দলের কোচ স্তিমাচ ক্লাবগুলির কাছে অনুরোধ করেছেন, ভারতের সিনিয়র দল যখন খেলবে, তখন ক্লাবগুলি যেন ফুটবলারদের ছেড়ে দেয়। কিন্তু আপাতত অনূর্ধ্ব-২৩ প্রতিযোগিতার জন্য কোনও ক্লাবই ফুটবলার ছাড়ল না। ফলে শুরুই করা গেল না প্রস্তুতি শিবির।
এক মাস পরেই শুরু অনূর্ধ্ব-২৩ এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা। তার আগে প্রস্তুতি শিবির করার পরিকল্পনা করেছিল সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)। কিন্তু ক্লাবগুলি ফুটবলার না ছাড়ায় সেই শিবির শুরু করা গেল না।
১২ অগস্ট থেকে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে শিবির শুরু করার পরিকল্পনা করেছিল এআইএফএফ। তা পিছিয়ে গিয়েছে। ফুটবল সংস্থার আশা ২০ অগস্ট থেকে শিবির শুরু করা যাবে। এআইএফএফ-এর জেনারেল সেক্রেটারি সাজি প্রভাকরণ সব ক্লাবকে চিঠি দিয়েছেন। তাতে লেখা, ‘‘ডুরান্ড কাপ শুরু হয়েছে। আইএসএলের জন্য বেশ কিছু ক্লাব প্রস্তুতি শুরু করেছে। সেই কারণে ভুবনেশ্বরে এশিয়ান কাপের শিবির ১২ অগস্ট থেকে পিছিয়ে ২০ অগস্ট করা হয়েছে।’’
৬ সেপ্টেম্বর মলদ্বীপ, ৯ সেপ্টেম্বর চিন ও ১২ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলা ভারতের। সব খেলা হবে চিনে। ৪ সেপ্টেম্বর সে দেশে যাওয়ার কথা ভারতীয় দলের। ভুবনেশ্বরে প্রস্তুতির পরে সরাসরি সেখান থেকেই চিনে উড়ে যাবেন ভারতীয় ফুটবলারেরা।
জাতীয় শিবিরের জন্য ক্লাবগুলির ফুটবলার ছাড়তে না চাওয়ার কারণ আছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও ওড়িশা এফসির সামন এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে। মুম্বই সিটির সামনে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা আছে। সেখানে সিনিয়র ফুটবলারদের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারদেরও প্রয়োজন। তা ছাড়া ডুরান্ড কাপও চলছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের কোচ স্তিমাচ আইএসএলের দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্তিমাচ। তবে অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে স্তিমাচ কোচিং করাবেন না। তিনি সিনিয়র দলকে নিয়ে তাইল্যান্ডে কিংস কাপ খেলতে যাবেন। ছোটদের কোচিং করাবেন স্তিমাচের সহকারী ক্লিফোর্ড মিরান্ডা।