ইগর স্তিমাচ। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য ইগর স্তিমাচকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)। আরও প্রায় দু’বছরের চুক্তি ছিল স্তিমাচের সঙ্গে। মাঝপথে এ ভাবে ছাঁটাই হলেও মুখ খোলেননি তিনি। তবে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন ফুটবলার।
২০১৯ সালে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন স্তিমাচ। গত অক্টোবরে তাঁর সঙ্গে ২০২৬ সালের মে মাস পর্যন্ত চুক্তি বৃদ্ধি করেছিল এআইএফএফ। মাঝপথে বরখাস্ত করার জন্য ফেডারেশন স্তিমাচকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৭৫ লাখ টাকা (তিন মাসের বেতন) দেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি নন স্তিমাচ। সূত্রের খবর, চুক্তি অনুযায়ী মাঝপথে ছাঁটাই করা হলে ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। ক্ষতিপূরণের অঙ্কের পার্থক্য নিয়েই বিদায়বেলায় ফেডারেশনের সঙ্গে আইনি সংঘাতে যেতে পারেন স্তিমাচ।
ভারত-কাতার ম্যাচের পর স্তিমাচ ফিরে গিয়েছেন নিজের দেশে। সেখান থেকে তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘‘বিষয়টির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমার আইনজীবী মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ভাবে কিছু বলব না। আমাকে ভারতে সাংবাদিক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হলে নিজের কথা বলতে পারি।’’
স্তিমাচের কোচিংয়ে ভারতীয় দল দু’বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। এ ছাড়া ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে গত এশিয়ান কাপ থেকেই ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে ভারতীয় দল যেতে না পারার পরই ফেডারেশন কর্তারা স্তিমাচকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিল এআইএফএফ-এর একটি কমিটি। সেখানে সহ-সভাপতি এনএ হ্যারিস ছাড়াও কার্যকরী সমিতির সদস্য মেনলা এথেনপা, কার্যকরী সমিতি এবং কম্পিটিশন্স কমিটির চেয়ারপার্সন অনিলকুমার প্রভাকরণ, এআইএফএফ-এর টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান আইএম বিজয়ন প্রমুখ ছিলেন। সেই বৈঠকের পর ফেডারেশনের তরফে বরখাস্ত করার চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে স্তিমাচকে। এখন থেকে তিনি আর ভারতের কোচ নন।