মাঠে নামার আগেই বিপদে ব্লু স্টার ফাইল ছবি
আগামী শনিবার এটিকে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার ক্লাব। কিন্তু এএফসি কাপের মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা পাচ্ছে না দলের অধিনায়ক এবং সহ অধিনায়ককে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে দলের কোচ বান্দা সমরকুন জানালেন, এক জনের চোট রয়েছে। আর এক জন ভিসা সমস্যায় খেলতে পারবেন না।
সামারকুন বলেছেন, “আমাদের সহ-অধিনায়ক এবং অধিনায়ক দুজনেই আগের ম্যাচে মাচিন্দ্রা এফসি-র বিরুদ্ধে খেলেছে। কিন্তু সহ অধিনায়ক লাহিরুর চোট থাকায় ও খেলতে পারবে না। অধিনায়ক এরাঙ্গাকে ভিসা দেয়নি ভারত সরকার। তাই ওকেও পাওয়া যাবে না। তবে ওদের অনুপস্থিতি আমাদের দলে প্রভাব ফেলবে না। আমাদের দলে তিন বিদেশি রয়েছে। তরুণ খেলোয়াড়রা রয়েছে। ফলে কোনও অসুবিধে হবে না।”
এই মুহূর্তে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার মধ্যেই সে দেশের ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন দল খেলতে এসেছে কলকাতায়। দেশের জন্য প্রত্যেক ফুটবলারেরই মন খারাপ। তবে এর মাঝেই তারা তৈরি হচ্ছেন পরের চ্যালেঞ্জের জন্য।
সামারকুন বলেছেন, “আপনারা সবাই জানেন যে এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা কী ধরনের আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। খেলাধুলোও তার থেকে বাদ নেই। বরং সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে আমাদের উপরেই। শুধু ফুটবল নয়, সব ধরনের খেলাই চরম পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও এই ধরনের প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমরা গর্বিত। শ্রীলঙ্কায় ফুটবল অত বেশি জনপ্রিয় নয়। সেই জায়গায় থেকেও আমরা এশীয় মানের একটা প্রতিযোগিতায় খেলতে নামছি।”
তিনি যোগ করেন, “মাদের দলের বেশিরভাগ ফুটবলার খুব দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। বেশি টাকা বেতনও পায় না ওরা। তাও খেলাটাকে ভালবাসে বলে খেলে। যদি ওদের হাতে আরও অর্থ আসে, তা হলে নিঃসন্দেহে আমাদের ফুটবলের মান আরও বাড়বে।”
তবে সবুজ-মেরুনের মুখোমুখি হওয়ার আগে শক্তির দিক থেকেও অনেকটা পিছিয়ে থাকবে ব্লু স্টার। দলের দুই নেতা শুধু নেই তাই নয়, যথেষ্ট প্রস্তুতির সময়ও পায়নি তারা। মাচিন্দ্রার বিরুদ্ধে খেলে তাদের দেশে ফিরতে হয়েছিল। সেখান থেকে চেন্নাইয়ে এসে অপেক্ষা করতে হয় দু'ঘণ্টা। তারপর কলকাতায় এসে তারা জানতে পারে কিট রয়ে গিয়েছে চেন্নাইয়ে। ফলে রবিবার বিনা বুটেই অনুশীলন করতে হয়েছে তাদের।
সেই প্রসঙ্গে ব্লু স্টারের কোচ বললেন, “আমাদের ঠিক মতো প্রস্তুতি হয়নি। তার উপর এটিকে মোহনবাগানের মতো কঠিন দলের বিরুদ্ধে ওদের ঘরের মাঠে নামব। চাপ যে আমাদের উপরেই বেশি থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে মাথা নত করতে কোনওভাবেই রাজি নই। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। সেই অনুযায়ী খেলব।”