আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে এটিকে মোহনবাগান ছবি টুইটার
ডুরান্ড কাপে এটিকে মোহনবাগানের অভিযান শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে সেই প্রতিযোগিতায় নিজেদের ভাগ্য জানার আগেই সবুজ-মেরুনের ফোকাস চলে গিয়েছিল এএফসি কাপে। ফিফার নির্বাসনে এক সময় যে ম্যাচ খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল তা আর নেই। ফলে যুবভারতী স্টেডিয়ামে বুধবার এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে কুয়ালা লামপুর এফসি-র বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেই নামবে এটিকে মোহনবাগান। গোল করার অভাব নিয়েও চিন্তিত নন কোচ জুয়ান ফেরান্দো।
রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস, সন্দেশ জিঙ্ঘন, তিরির মতো তারকা চলে যাওয়ায় এটিকে মোহনবাগান এমনিতেই একটা রূপান্তরের মধ্যে রয়েছে। দলে আশিক কুরুনিয়ান, বিশাল কাইত, আশিস রাইয়ের মতো ফুটবলার নেওয়া হলেও তাঁরা এখনও মানিয়ে নিতে পারেননি। যে কারণে ডুরান্ড কাপের গ্রুপ থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। দলে গোলটা করবেন কে? ডুরান্ডে স্ট্রাইকারের অভাব ভালমতো বোঝা গিয়েছে। ভাল মানের স্ট্রাইকার না থাকায় গোল করার মতো কেউ নেই। তবে ফেরান্দো এ বিষয়ে চিন্তিত নন। বলেছেন, “এটা ফুটবলের অংশ। যদি আমরা সুযোগ তৈরি করতে না পারতাম তা হলে চিন্তা থাকত। সুযোগ যখন তৈরি করছি, তখন ঠিক গোল হয়ে যাবে। সঠিক পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছি।”
অতীতের ফল নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না ফেরান্দো। বলেছেন, “দুটো আলাদা প্রতিযোগিতা। ডুরান্ড কাপ আমাদের কাছে অতীত। এখন ফোকাস বুধবারের ম্যাচের দিকে। ফুটবলে বর্তমান এবং ভবিষ্যতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নতুন দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। আমাদের কাছে এএফসি কাপ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দলকে সে ভাবেই প্রস্তুত করতে হয়েছে।”
এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে গোকুলমের কাছে ২-৪ ব্যবধানে হারলেও বসুন্ধরা কিংস এবং মাজিয়াকে হারিয়ে আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে উঠেছে এটিকে মোহনবাগান। গত মরসুমে এই পর্বেই উজবেকিস্তানের নাসাফের কাছে ০-৬ হেরেছিল এটিকে মোহনবাগান। সেটি অ্যাওয়ে ম্যাচে ছিল। এ বার ঘরের মাঠে ম্যাচ। এই ব্যাপারে ফেরান্দো একটু বেশিই খুশি।
বলেছেন, “ঘরের মাঠে খেলার অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ পাব। আমরা প্রত্যেকে পেশাদার। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। এই মাঠ, এই পরিবেশ আমাদের চেনা। তাই কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বিপক্ষের থেকে একটি গোল বেশি করতে চাই আমরা। এটাই আমাদের লক্ষ্য।”