নজরে কি সেই সুনীল ছবি টুইটার
কম্বোডিয়াকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব জিতে শুরু করেছে ভারত। শনিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠিন ম্যাচে নামছে ভারত। ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের থেকে নীচে থাকলেও আফগানিস্তানের বেশির ভাগ ফুটবলার খেলেন ইউরোপে। আধুনিক ফুটবলে তাঁরা অনেক বেশি রপ্ত। হংকংয়ের কাছে হারের পর তাদের কোচ অনুশ দাস্তগির বলে রেখেছেন, তাঁরা মরণ-বাঁচন ম্যাচে নামছেন। ফলে অনেক বেশি সতর্ক হয়ে নামতে চাইছে ভারত। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও কি সুনীল ছেত্রীর উপর ভরসা করতে হবে ভারতকে?
প্রশ্ন শুনে বেশ বিরক্ত ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ। ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “এই প্রশ্ন শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। সুনীল যতক্ষণ সঙ্গে রয়েছে, তখন বাকি কেউ গোল না করলেও আমার যায় আসে না। ও না থাকলে তখন বাকিরা গোল করা শুরু করবে। প্রতি ম্যাচে সুনীল যখন গোল করছে তখন বাকিদের দিকে তাকানোর দরকারই বা কী?”
তবে স্তিমাচ এবং গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু দু’জনের গলাতেই প্রতিপক্ষকে নিয়ে সমীহের সুর। স্তিমাচ বলেছেন, “আফগানিস্তান শারীরিক ভাবে শক্তিশালী। ফলে আমাদের পজিশনিং খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। মাথা খাটিয়ে ফুটবল খেলতে হবে। দোহাতে যখন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম, তখন প্রতিটা বিভাগে ওদের টেক্কা দিয়েছিলাম আমরা। এখন আগের থেকেও আমরা ভাল জায়গায়। যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, তাতে আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। আশা করি ম্যাচটা জিতব।” গুরপ্রীত বলেছেন, “ওদের অনেকে ইউরোপে খেলে। লড়াকু দলের বিরুদ্ধে খেলার মজাই আলাদা। জিতব বলেই আমরা খেলতে এসেছি।”
আগের ম্যাচে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দিয়েছিলেন স্তিমাচ। আফগানিস্তান ম্যাচে প্রথম একাদশে বদলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “এখনও অনুশীলন বাকি। তার পরে সিদ্ধান্ত নেব। এই ম্যাচে পুরোপুরি ফিট ফুটবলারদের চাই। ম্যাচের দিক সকালে সবাইকে দেখে সিদ্ধান্ত নেব। আধুনিক ফুটবলে নির্দিষ্ট কোনও প্রথম একাদশ থাকে না। বিপক্ষকে দেখে দল বাছতে হয়।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।