প্রতীকী ছবি
একটি ম্যাচে ৩৪ গোল, আর একটি ম্যাচে ৬০ গোল! দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৯৪ গোল! ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে চারটি ক্লাবকে আজীবন নির্বাসিত করা হল। দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ ডিভিশনের ফুটবলে এই ঘটনা ঘটেছে।
দুই দলের মধ্যে শীর্ষে থেকে উপরের ডিভিশনে ওঠার লড়াই চলছিল। তখনই গড়াপেটা হয়। যারা গোল দিয়েছে এবং যারা খেয়েছে, সেই চারটি দলকেই নির্বাসিত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে দক্ষিণ আফ্রিকা ফুটবল সংস্থা।
যে চারটি দলকে নির্বাসিত করা হয়েছে তারা হল মাতিয়াসি এফসি, শিভুলানি ডেঞ্জারাস টাইগার্স, কোতোকো হ্যাপি বয়েজ এবং এনসামি মাইটি বার্ডস। টাইগার্স এবং মাতিয়াসির মধ্যে উপরের ডিভিশনে ওঠার লড়াই চলছিল। হ্যাপি বয়েজের বিরুদ্ধে ম্যাচে শিভুলানি ৩৩-১ ব্যবধানে জেতে। মাতিয়াসি ৫৯-১ গোলে হারিয়েছে এনসামিকে।
জানা গিয়েছে, শিভুলানি প্রথম স্থানে ছিল। তাদের গোলপার্থক্য ছিল ১৬। মাতিয়াসি এবং এনসামি চাইছিল শিভুলানিকে আটকাতে। তাই তারা ম্যাচ গড়াপেটা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এনসামির বিরুদ্ধে বিরতিতে ২২-০ এগিয়েছিল মাতিয়াসি। খবর পেয়ে শিভুলানি বিপক্ষের ফুটবলারদের ইঙ্গিতে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। বিপক্ষ, অর্থাৎ হ্যাপি বয়েজের বেশ কিছু ফুটবলার মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। অজুহাত দেন, তাঁরা নাকি ক্লান্ত।
অন্য দিকে, মাতিয়াসি ম্যাচে রেফারি একের পর এক লাল কার্ড দেখাতে থাকেন এনসামির ফুটবলারদের। এমনকী, কে কোন গোল করেছেন সেটাও রেফারির নোটবুকে ছিল না। সেই ম্যাচে নাকি ৪১টি আত্মঘাতী গোল হয়েছে।
শুধু ক্লাবই নয়, সেই ক্লাবের কর্তাদেরও পাঁচ থেকে আট বছর নির্বাসিত করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ফুটবলের এক কর্তা বলেন, “যারা ফুটবলকে সম্মান জানাতে শেখেনি, তাদের ফুটবলে থাকাই উচিত নয়।” নির্বাসিত মাইটি বার্ডসের কোট নিল থাওয়ালা বলেছেন, “আমরা আগের ম্যাচেই বলেছিলাম, রেফারি বিপক্ষের হয়ে মাঠে নেমেছেন।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।