রুবিয়ালেসের (মাঝে) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ স্পেনের ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স।
স্পেনের মহিলা ফুটবলে বিতর্ক থামছেই না। বিশ্বকাপের আগে থেকে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সমস্যা ছিল কোচ জর্জ ভিলদাকে নিয়ে। ফাইনালের পর থেকে আলোচনায় স্পেনের ফুটবল সংস্থার প্রধান লুইস রুবিয়ালেস। মহিলা ফুটবলার জেনিফার এরমোসোর ঠোঁটে তাঁর চুমু খাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রুবিয়ালেসকে সরানো না হলে স্পেনের মহিলা ফুটবল দল আর খেলতে নামবে না বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। একই কথা বলেছেন পুরুষ দলের ফুটবলার বোরহা ইগলেসিয়াস। তিনিও রুবিয়ালেসের অপসারণের আগে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান না।
মহিলা ফুটবলারদের সংস্থা ফুটপ্রোর একটি বিবৃতি অনুযায়ী, এরমোসো এবং মহিলা দলের ৮০ জন ফুটবলার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাইছেন না। তাঁদের দাবি, রুবিয়ালেসকে সরাতে হবে। আগের দিনই রুবিয়ালেস বলেছিলেন, এরমোসোর ইচ্ছেতেই চুমু খেয়েছিলেন। সেই যুক্তি খণ্ডন করে এরমোসো বলেছেন, “আমি কখনওই চুমু খাওয়ার ব্যাপারে রাজি হইনি। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হলে ছেড়ে কথা বলব না। ওরা নতুন নতুন কথা বলছে যা আমি বলিইনি।”
ফুটপ্রো জানিয়েছে, স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ২৩ জন ফুটবলারই তাদের সঙ্গে রয়েছেন, যাঁরা জাতীয় দলের হয়ে আর খেলতে চান না। তাদের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “স্পেনের ফুটবলে পরিকাঠামোগত পরিবর্তন চাই আমরা, যাতে আগামী দিনে জাতীয় দল আরও এগিয়ে যেতে পারে এবং পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের সাফল্যের ফায়দা তুলতে পারে। কিন্তু এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা আমাদের লক্ষ্য থেকে আরও সরিয়ে দিচ্ছে এবং গোটা সংস্থার নাম খারাপ করছে। বিশ্বকাপের পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে যা হয়েছে তা দেখে আমরা জানাতে চাই, যদি নেতৃত্বে বদল না হয় তা হলে এই বিবৃতিতে সই করা সমস্ত ফুটবলার জাতীয় দলে খেলবে না।”
এ দিকে, বোরখা টুইটারে লিখেছেন, “ফুটবলার এবং মানুষ হিসাবে যা হয়েছে, তার পরে আর দেশের প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছে নেই। আমার জীবনের সেরা ঘটনা হল স্পেনের জার্সি গায়ে তোলা। জানি না আর কোনও দিন সেই জার্সি গায়ে তুলতে পারব কি না। কিন্তু যত ক্ষণ না পরিস্থিতি বদল হচ্ছে, তত দিন স্পেনের জাতীয় দলে ফিরতে রাজি নই।”