ক্লাব কর্তা দেবাশিস দত্ত বলেন, “ক্লাবের বাইরে ঝামেলা হয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। মোহনবাগান ক্লাবের এক কোটি সমর্থক রয়েছে। আজ যদি কেউ বেলঘরিয়ায় বা গড়িয়াহাটে মারপিট করে, তা হলে কি আমি কিছু করতে পারব? আজ মনোনয়নের শেষ দিন। কার সঙ্গে কার কী সমস্যা রয়েছে সেটা তো বলতে পারব না। পুলিশ যে রকম তদন্ত করার সে রকম করবে। আমরা নিজে থেকে কিছু করব না।”
মোহনবাগান ক্লাবের সামনে গণ্ডগোল হয় শনিবার। —ফাইল চিত্র
মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল শনিবার। সেই দিন বিকেলেই ক্লাব তাঁবুর সামনে হঠাৎ গণ্ডগোল। দুই পক্ষের মারামারিতে আহত হয়েছিলেন তিন জন। রবিবার সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে চার জনকে গ্রেফতার করল ময়দান থানা।
তাঁবুর বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছিল দুই পক্ষ। ক্রিকেট ব্যাট, উইকেট নিয়ে চলে মারপিট। ক্লাবের কর্তা সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। গেটের বাইরে চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতেও দেখা যায়। যদিও তাঁবুর ভিতরে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়, এই গণ্ডগোলের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। সত্যজিৎ বলেন, “কী হয়েছে, কারা করেছে সে ব্যাপারে কিছুই জানি না। শুধু শুনলাম আমার গাড়ির লুকিং গ্লাসটা ভাঙা হয়েছে। যা হয়েছে ক্লাবের বাইরে হয়েছে। ভিতরে কিছু হয়নি। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।”
ক্লাব কর্তা দেবাশিস দত্ত বলেন, “ক্লাবের বাইরে ঝামেলা হয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। মোহনবাগান ক্লাবের এক কোটি সমর্থক রয়েছে। আজ যদি কেউ বেলঘরিয়ায় বা গড়িয়াহাটে মারপিট করে, তা হলে কি আমি কিছু করতে পারব? আজ মনোনয়নের শেষ দিন। কার সঙ্গে কার কী সমস্যা রয়েছে সেটা তো বলতে পারব না। পুলিশ যে রকম তদন্ত করার সে রকম করবে। আমরা নিজে থেকে কিছু করব না।”
পুলিশ যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে তাদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।