আর্জেন্টিনার হয়ে এ বারই শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন মেসি। —ফাইল চিত্র
কাতার বিশ্বকাপের আগে লিয়োনেল মেসি জ্বরে কেরল। দক্ষিণের এই রাজ্যে আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি ভালবাসা কতটা তা প্রমাণ করে দিচ্ছে ফুটবলারের বড় বড় কাট-আউট। কেরলের কোঝিকোড়ে নদীতেও দেখা যাচ্ছে মেসির কাট-আউট।
কিছু দিন আগেই কোঝিকোড়ের পুল্লাভুর এলাকায় চেরুপুঝা নদীতে কুরুনগাট্টা কাদাভু সেতুর কাছে মেসির একটি ৩০ ফুট উঁচু কাট-আউট লাগানো হয়েছে। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। কী ভাবে সেই কাট-আউট লাগিয়েছেন মেসি-ভক্তরা, সেই ভিডিয়োও ছড়িয়েছে।
পুল্লাভুরের আর্জেন্টিনা ফ্যানস্ অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য জাবির জানিয়েছেন, অনেক ভাবনার পরে নদীর মধ্যে মেসির কাট-আউট লাগিয়েছেন তাঁরা। কেরলের অনেক জায়গায় মেসির বড় বড় কাট-আউট আছে। কিন্তু নদীর মধ্যে নেই। সবার থেকে আলাদা হতেই এই ভাবনা। তাঁদের এই উদ্যোগের কথা আর্জেন্টিনার টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাবির।
মেসির কাট-আউট তৈরি করতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর্জেন্টিনা ফ্যানস্ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা চাঁদা তুলে এই কাট-আউট বানিয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে পরিকল্পনাকে তাঁরা বাস্তবে পরিণত করেছেন বলে জানিয়েছেন জাবির।
অন্য দিকে আর্জেন্টিনা ও মেসির খেলা দেখতে ইতিমধ্যেই গাড়ি চালিয়ে কাতারে রওনা হয়েছেন কেরলের মাহে জেলার বাসিন্তা নাজি নৌশি। গাড়ি চালিয়ে প্রথমে কেরল থেকে মুম্বই যাবেন নৌশি। সেখান থেকে জাহাজে করে যাবেন ওমান। সেখানে নেমে বাকি পথ গাড়িতেই পাড়ি দেবেন নৌশি। ওমান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাহরিন, কুয়েত ও সৌদি আরব পেরিয়ে কাতারে ঢুকবেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যের এই সব দেশে গাড়ি চালানোর ও কাতারে থাকার ভিসা ইতিমধ্যেই করিয়ে নিয়েছেন নৌশি।
সংবাদমাধ্যমে নৌশি বলেছেন, ‘‘আশা করছি, আমি ১০ ডিসেম্বর কাতারে পৌঁছে যাব। বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখব। আমি আর্জেন্টিনা আর মেসির অন্ধ ভক্ত। আশা করছি কাতারে আমার প্রিয় দল বিশ্বকাপ জিতবে।’’ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেই অবশ্য কাতার থেকে ফিরবেন না নৌশি। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতারে থাকবেন তিনি। যাতে যাতায়াতের পথে খাওয়ার সমস্যা না হয়, সেই জন্য গাড়িতেই রান্না করার সরঞ্জাম নিয়েছেন নৌশি। রাস্তা থেকে রেশন তুলে নেবেন। নৌশির ইচ্ছা, যাত্রাপথে কোনও হোটেলে নয়, উল্টে টোল প্লাজা বা পেট্রল পাম্পের কাছে গাড়িতে রাত কাটাবেন তিনি।