ডার্বিতে চাপ সামলে জিতেছেন জুয়ান ফেরান্দো। —ফাইল চিত্র
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগান গোল করার পরেই দেখা গিয়েছিল, আনন্দে লাফাচ্ছেন তিনি। কিন্তু ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা পেশাদার। তাই বেশি উচ্ছ্বাসের কিছু নেই। সংবাদমাধ্যমের সামনে গম্ভীর হলেও হোটেলে ফিরে নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আনন্দের চোটে লাফিয়েছিলেন তিনি। সে কথা জানিয়েছেন নিজেই।
ফুটবল সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে ফেরান্দো সে রাতের উল্লাস নিয়ে মুখ বলেছেন, ‘‘মাঠের মধ্যে আমার উল্লাসের ছবিগুলোই বুঝিয়ে দেয় কতটা চাপ ছিল সেই ম্যাচে। যখন গোলের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল, তখন আরও চাপ বাড়ছিল। ম্যাচ জেতার পরে সে দিন হোটেলের ঘরে ঢুকে আমি অন্তত কুড়ি বার লাফিয়েছিলাম। আসলে বার বার ধাক্কা খাওয়ার পরে যখন এ রকম সাফল্য আসে, তখন উল্লাস ভিতর থেকে আসে।”
ডার্বিতে চাপ থাকলেও সেই চাপ নিতে তাঁর ভাল লাগে বলে জানিয়েছেন সবুজ-মেরুন কোচ। বলেছেন, ‘‘কলকাতা ডার্বিতে খেলার চাপ তো থাকবেই। কিন্তু সেই চাপটা নিতে দারুণ লাগে। এ রকম একটা ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। খেলোয়াড়রা আগে থেকেই উজ্জীবিত হয়ে যায়। নিজেদের সমর্থকদের সামনে সব থেকে বড় ম্যাচটা জেতার একটা তাগিদ ফুটবলারদের মধ্যে তৈরি হয়। আমি এই চাপটা খুব উপভোগ করি।’’
এ বারের আইএসএলের শুরুটা ভাল হয়নি এটিকে মোহনবাগানের। কিন্তু ডার্বির পরে দলের সবার মনোবল খুব ভাল জায়গায় আছে বলে জানিয়েছেন ফেরান্দো। যদিও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নন তিনি। বলেছেন, “পরের রবিবার আমার সামনে নতুন কী সমস্যা আসবে, তা এখন থেকে বলা কঠিন। এখানে খেলার মধ্যে আবেগ এত বেশি থাকে, যে আগে থেকে কিছু বলা সম্ভব হয় না। তবে আমাদের দলে এখন ফুরফুরে মেজাজ। সবাই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আশা করছি, আমরা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারব।’’
আত্মবিশ্বাসী হলেও নিজেদের এগিয়ে রাখছেন না সবুজ-মেরুন কোচ। তাঁর কাছে, এ বারের প্রতিযোগিতার সেরা দল অন্য। তিনি বলেছেন, ‘‘কে জিতবে সেটা এখনই বলা কঠিন। তবে এখন পর্যন্ত হায়দরাবাদ এফসিই সেরা দল। কারণ, ওরা প্রতি ম্যাচে সাফল্য পাচ্ছে। ওড়িশা এফসিও মরসুমটা খুব ভাল ভাবে শুরু করেছে। তবে বেঙ্গালুরু এফসিকে দেখে একটু অবাকই হয়েছি। মরসুমের শেষে ওদের সেরা তিনে দেখার আশা রাখছি।