দিন-রাতের টেস্ট সনাতনী খেলাকে বাঁচিয়ে রাখবে। ফের বললেন সৌরভ। ফাইল চিত্র
ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে এসে একটা সময় স্পিনারদের ‘বাপি বাড়ি যা’ বলতেন। বল গিয়ে জমা হত গ্যালারিতে। ঠিক সেই ভাবেই হৃদরোগের সমস্যাকে দূরে সরিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করে দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি যে সম্পূর্ণ সুস্থ, ২০২১-ওর সরস্বতী পুজোই তার সূচক। ঘটনাচক্রে এবিপি আনন্দ এবং সিএনএক্স-এর যৌথ সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মহারাজ রাজনীতিতে আসুন, সেটি চাইছেন রাজ্যের ৭৭ শতংশ মানুষ। তাঁর রাজনীতিতে আসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা চলছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আমদাবাদের নতুন মোতেরা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের গোলাপি বলের টেস্ট। সেই ম্যাচ দেখতে যাচ্ছেন বিসিসিআই সভাপতি। একে তো বাঙালির ‘ভ্যালেন্টাইন দিবস’ সরস্বতী পুজো। এর মধ্যে আবার বিরাট কোহালির দল চিপকে সমতা ফিরিয়েছে। এমন আবহে অনেকদিন পর প্রাণ খুলে কথা বললেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। ম্যাচ সম্প্রচারকারী চ্যানেলে দ্বিতীয় টেস্টের সময় দীর্ঘ দিনের সতীর্থ আশিস নেহরার সঙ্গে দিন-রাতের টেস্ট, আসন্ন আইপিএল, আইএসএলের ফিরতি ডার্বি যুদ্ধ, নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বললেন মহারাজ। আনন্দবাজার ডিজিটালের পাঠকদের জন্য ‘প্রিন্স অব কলকাতা’র বক্তব্য তুলে ধরা হল।
হৃদ রোগ ক্লিন বোল্ড: আমি দারুণ আছি। দিব্যি আছি। আগের মত একদম ফিট। কোনও সমস্যা নেই। তবে প্রথমদিকে আমিও কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। যদিও বাইরের লোকজন ব্যাপারটা নিয়ে যতটা আলোচনা করছিল, তেমন ভয়ের কিছুই হয়নি। পরের দিকে আমার আর কোনও সমস্যা হয়নি। ইদানিং আমি আবার আগের মত কাজকর্ম করছি। বাড়ির সামনেই অফিস। সেখানেও যাচ্ছি।
দলের ‘দ্বাদশ ব্যাক্তি’-কে ধন্যবাদ: যাঁরা রোদে পুড়ে, জল ভিজে স্টেডিয়ামে আসেন, তাঁরা নিছক ক্রিকেট সমর্থক নন। ওঁরা আমাদের দলের ‘দ্বাদশ ব্যাক্তি’। ওঁরা গ্যালারি ভরান বলেই তো আমাদের দল মাঠে ভাল খেলার তাগিদ পায়। তাই করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ার পরেই মাঠে দর্শকদের চেয়েছিলাম। তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থাও দারুণ কাজ করেছে। জৈব বলয় নিয়ন্ত্রণ করে দেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ আয়জনের জন্য ওদের বাহবা প্রাপ্য।
নতুন মোতেরায় গোলাপি বলের টেস্ট: দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচের সব টিকিট ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তবে স্টেডিয়ামে বসার ব্যবস্থা ১ লাখ ১০ হাজার হলেও কোভিডের জন্য শুধু ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। একে তো ওখানে অনেক বছর পর টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে, এর মধ্যে আবার গোলাপি বলের খেলা। তাই সবার উন্মাদনা তুঙ্গে। শুধু ক্রিকেট নয়, আমরা সবাই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরছি। এটাই বেশি আন্দদের। সকালে জয় শাহের সঙ্গে কথা হল। খুবই উত্তেজিত। আসলে ওর জন্যই কিন্তু আমদাবাদে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর পর ক্রিকেট ফিরল। আশা করি ওখানে গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচের সঙ্গে গুজরাত ক্রিকেট সংস্থা আরও কিছু বিনোদনের ব্যবস্থা করবে, যাতে মাঠে আসা দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দেওয়া যায়। ভারতে প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট আমার প্রিয় ইডেনে আয়োজিত হয়েছিল। সেবারের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ এবারের ইংল্যান্ডের তুলনায় দুর্বল হলেও আমরা ম্যাচ্বের বাইরেও অনেক কর্মসূচি নিয়েছিলাম। আমার ধারণা জয় শাহ তেমনই কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করবে, যাতে সেই ঐতিহাসিক টেস্ট আরও জমকালো হয়ে ওঠে।
দিন-রাতের টেস্ট বাধ্যতামূলকঃ টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে দিন-রাতের টেস্ট ও সঙ্গে দর্শকদের জন্য বিনোদন। এটাই হল টেস্ট ম্যাচ বাঁচানোর একমাত্র রাস্তা। সেটা ভারতীয় দলও বুঝতে পেরেছে। তাই এবার থেকে দেশে কিংবা বিদেশে আমাদের দল খেলতে গেলেই প্রতি সিরিজে একটা করে গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হবে।
আইপিএলে গ্যালারি ভরবেঃ এবারের আইপিএল আমরা দেশেই আয়োজন করব। দর্শকদের উপস্থিতিতে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যায় কিনা সেটা নিয়ে খুব দ্রুত আলোচনা করব। কারণ আমরা আইপিএলকে আরও বড় ভাবে আয়োজন করতে চাই।