নতুন বিতর্কে জড়ালেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। —ফাইল চিত্র।
প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। অওরঙ্গাবাদের এক ট্র্যাভেল এজেন্ট তাঁর বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। স্বয়ং আজহার যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিশাল অঙ্কের মানহানির মামলা করারও হুমকি দিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদ শহরের দানিশ টুর ও ট্র্যাভেলস এজেন্সির মালিক শাহাব মহম্মদ অভিযোগ করেছেন যে, আজহার ও অন্য দু’জনের জন্য গত নভেম্বরে তিনি প্রায় ২১ লক্ষ টাকার বিমান টিকিট কেটে দিয়েছিলেন। শাহাবের দাবি, এই টিকিট কাটার অনুরোধ করেছিলেন প্রাক্তন জাতীয় অধিনায়কের ব্যক্তিগত সচিব মুজিব খান। কিন্তু বার বার তাঁকে অনলাইনে পেমেন্টের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনও টাকা দেওয়া হয়নি।
অভিযোগে শাহাব বলেছেন যে, টাকা চাওয়ার পর মুজিব খানের সহযোগী সুদেশ আওয়াক্কাল ইমেলে তাঁকে ১০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করার কথা জানান। কিন্তু তিনি কোনও অর্থ পাননি। শাহাব মহম্মদ বলেছেন, “অনেক বছর ধরেই মুজিব খানকে চিনি। প্রায়ই তিনি আজহারউদ্দিনের জন্য বিমানের টিকিট কাটতে দিতেন। অতীতে কিন্তু এই ব্যাপারে কোনও সমস্যা হয়নি। এই বারে আজহারউদ্দিন ও আওয়াক্কালের ইউরোপে যাওয়ার জন্য দুটো টিকিট কাটতে বলা হয়েছিল। ৯ নভেম্বর এমিরেটস এয়ারলাইন্সে মুম্বই থেকে দুবাই হয়ে প্যারিস গিয়েছিলেন তাঁরা। ১২ নভেম্বর দিল্লি হয়ে মুম্বই ফেরেন তাঁরা। টিকিটের দাম পড়েছিল ২০ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা।”
আরও পড়ুন: ‘ওর মাথার চুলের চেয়ে আমার টাকা বেশি’, সহবাগকে ‘রসিকতা’ শোয়েব আখতারের
আরও পড়ুন: বিশ্ব একাদশ বনাম এশিয়া একাদশের খেলা হবে না ভারতে, জানিয়ে দিল বোর্ড
তাঁর অভিযোগ, “আমাকে পরে এক ইমেলে বলা হয় যে, ক্রোয়েশিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে আমার অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। কিন্তু তেমন কিছুই করা হয়নি। ক্রোয়েশিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে আমি এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ওরা জবাবে জানায় যে, আমার অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই ট্রান্সফার করা হয়নি।”
এই ব্যাপারে তদন্তকারী অফিসার অমরনাথ ডি নাগরে বলেছেন, “প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার আজহারউদ্দিন ও আরও দু’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। আমরা তদন্ত করছি। যদি আদালতে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়, তবে ওঁরা সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তি পাবেন। না হলে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কিন্তু তিন জনকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।”
আজহারউদ্দিন অবশ্য টুইটারে এক ভিডিয়ো বার্তায় ট্র্যাভেল এজেন্টের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “অওরঙ্গাবাদে আমার বিরুদ্ধে করা এফআইআর মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। এর মধ্যে কোনও সত্যতা নেই। প্রচারের আলোয় আসার জন্যই এই অভিযোগ করা হয়েছে। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করব।”