পোগবার গোলের পর ফ্রান্সের উল্লাস। ছবি এএফপি।
ফরাসি বিপ্লব হল না। তবে তিন পয়েন্ট এল। জিতে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ফ্রান্স। শনিবার প্রথম ম্যাচে তারা ২-১-এ হারাল অস্ট্রেলিয়াকে।
কাজান এরিনায় হলুদ রঙা জার্সিতে অস্ট্রেলিয়া অবশ্য লড়ল আগাগোড়া। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গেল গোল শোধের। হারার মতো খেলেনি তারা। ড্র হতেই পারত যথাযথ ফলাফল। তবে প্রথমার্ধে আগাগোড়া দাপট দেখিয়েছিল দিদিয়ের দেশঁর দল। গোলের মুখ যদিও খোলা যাচ্ছিল না। ফাইনাল থার্ডে গিয়ে আটকে যাচ্ছিলেন ফরাসিরা।
কোচ দেশঁ প্রথম এগারোয় রাখেননি স্ট্রাইকার অলিভার জিরুঁকে। তার অভাব অনুভূত হচ্ছিল। টিনএজার এমবাপের উপর ভরসা রেখেছিল ফ্রান্স। যিনি কোনও বড় প্রতিযোগিতায় এই প্রথম বার নামলেন।
তবে এই ম্যাচ বিশ্বকাপের ইতিহাসে জায়গা করে নিল অন্য কারণে। এই প্রথম বিশ্বকাপের ইতিহাসে ব্যবহৃত হল ভিএআর বা ভিডিয়ো অ্যাসিস্টন্ট রেফারি সিস্টেম। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে বক্সের মধ্যে আন্তোনিও গ্রিজম্যানকে ফাউল করা হয়েছিল। উরুগুয়ের রেফারি কুনহা আন্দ্রেস তখন পেনাল্টি কিক দেননি। কিন্তু ভিএআর অফিসিয়ালদের থেকে সঙ্কেত পেয়ে খেলা থামান তিনি। তার পরে সেই ফাউল পরীক্ষা করে দেখার পর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি কুনহা।
আরও পড়ুনঃ থুতনিতে হাত দিয়ে কি ছাগল বোঝালেন রোনাল্ডো? জল্পনা তুঙ্গে
৫৮ মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ম্যাচের সেরা গ্রিজম্যান। এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সমতা ফেরায় অস্ট্রেলিয়া। ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকেই ১-১ করেন মিলে জেদিনাক। ফ্রান্সের জয়সূচক গোল আসে পল পোগবার পা থেকে। ৮১ মিনিটে তাঁর শট এক অজি ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে গতিপথ পাল্টায়। ক্রসবারের ভিতরে লেগে ড্রপ খায় গোললাইনের ভিতরে। এ ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয় গোললাইন প্রযুক্তি। পোগবার দশম আন্তর্জাতিক গোলে ২-১ এগিয়ে যায় ফ্রান্স। পাঁচ মিনিটের বাড়তি সময় পেয়েও গোলশোধ করতে পারেনি অজিরা।