মহড়া: গোয়ার অনুশীলনে আদিল ও গ্লেন (ডান দিকে)। এফসি গোয়া
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ, শনিবার এফসি গোয়ার প্রতিপক্ষ আল ওয়াহাদা এফসি। কিন্তু আকর্ষণের কেন্দ্রে বার্সেলোনার দুই প্রাক্তনীর দ্বৈরথ!
প্রথম জন, গোয়ার কোচ খুয়ান ফেরান্দো। লা মাসিয়া থেকে উত্থান তাঁর। যদিও চোটের কারণে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ফুটবল ছেড়ে কোচিং শুরু করেন তিনি। দ্বিতীয় জন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আল ওয়াহাদা এফসি-র ডাচ কোচ হেঙ্ক টেন কাটা। বার্সেলোনায় ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ডের সহকারী হিসেবে জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা (দু’বার)। ২০০৬ সালে আয়াখস আমস্টারডামের কোচ হন হেঙ্ক। লিয়োনেল মেসিদের প্রাক্তন গুরু পরের বছর চেলসিতে যোগ দেন আব্রাম গ্রান্টের সহকারী হিসেবে। দুই দলের দুই চাণক্যেরই আস্থা পাসিং ফুটবলে।
কাতারের আল রায়ান এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে অভিষেকের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘ই’ গ্রুপে যাত্রা শুরু করেছেন এদু বেদিয়া-রা। আল ওয়াহাদা প্রথম ম্যাচেই ইরানের পার্সিপোলিস এফসি-র বিরুদ্ধে ০-১ হারায় গোয়ার সমর্থকেরা উচ্ছ্বসিত। কিন্তু কোচ সতর্ক। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে খুয়ান বলেছেন, ‘‘আল ওয়াহাদার কোচকে আমি খুব ভাল করেই চিনি। প্রখর ফুটবল জ্ঞানের অধিকারী। বার্সেলোনায় রাইকার্ডের সহকারী ছিলেন। এই ম্যাচটা খুবই কঠিন হতে চলেছে। ফুটবলারদের উচিত মনঃসংযোগ বাড়ানো।’’
আল ওয়াহাদা-র মাঝমাঠের প্রধান ভরসা অধিনায়ক ইসমায়েল মাতা আগের ম্যাচে শুরু থেকে খেলেননি। ৬৩ মিনিটে তিনি মাঠে নামেন। গোয়ার বিরুদ্ধে তিনি সম্ভবত প্রথম থেকেই খেলবেন। সেই সঙ্গে খুয়ানের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের শরীরী ফুটবল। গোয়া কোচ বলেছেন, ‘‘আমার দলের ফুটবলারদের যোগ্যতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমাদের খেলার আরও উন্নতি করতে হবে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ছ’টি ম্যাচ ওদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার সেরা মঞ্চ।’’ খুয়ান আরও বলেছেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতার সব খেলাই খুব উচ্চ মানের। এই ধরনের ম্যাচে কখন আক্রমণে উঠতে হয়, কখন পাস দিতে হবে, বল কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সেই সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা খুব জরুরি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এই ধরনের প্রতিযোগিতায় দলগত ফুটবল খেলতে হবে। না হলে বিপর্যয় অনিবার্য। এফসি গোয়া ও ভারতীয় ফুটবলের
পক্ষে যা ক্ষতিকারক।’’
প্রথম ম্যাচের পরে গোয়ার খেলার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন আল রায়ানের কোচ কিংবদন্তি লরা ব্লঁ। একই সুর শোনা গিয়েছে হেঙ্কের গলাতেও। সাংবাদিক বৈঠকে আল ওয়াহাদার কোচ বলেছেন, ‘‘আল রায়ানের বিরুদ্ধে গোয়ার খেলা আমি দেখেছি। দারুণ সঙ্ঘবদ্ধ দল। ওদের রক্ষণও খুব শক্তিশালী।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আগের ম্যাচে মাঝমাঠে অসাধারণ খেলেছিল জেমস ডোনাচি, ইভান গঞ্জালেস ও এদু বেদিয়া। গোয়ার গোলরক্ষকও দুর্দান্ত। আমরা এমন একটা দলের মুখোমুখি হব, যারা ইতিমধ্যেই এক পয়েন্ট অর্জন করেছে। তবে আমরা জিতলেই এই গ্রুপের ছবিটা বদলে যাবে।’’
প্রথম ম্যাচে পার্সিপোলিসের বিরুদ্ধে হারলেও দলের খেলায় খুশি হেঙ্ক। বললেন, ‘‘এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাবের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম ম্যাচ খেলেছিলাম। কঠিন লড়াই ছিল। হেরে গেলেও আমার দলের ফুটবলারদের খেলায় আমি সন্তুষ্ট।’’
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: এফসি গোয়া বনাম আল ওয়াহাদা এফসি (রাত ৮.০০, স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে সরাসরি সম্প্রচার)।