উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে বৈঠক করছেন কৃষকনেতারা। ছবি: পিটিআই
কুস্তিগিরদের দাবি নিয়ে দরকার পড়লে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাঁরা যাবেন বলে জানিয়েছেন কৃষকনেতারা। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে ‘মহাপঞ্চায়েত’ ডেকেছিলেন কৃষকনেতারা। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কুস্তিগিরদের আন্দোলনে তাঁরা শেষ দিন পর্যন্ত পাশে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত।
বৈঠক শেষে রাকেশ বলেন, ‘‘কুস্তিগিরদের একটা কথাই বলতে চাই, শেষ পর্যন্ত আমরা তোমাদের পাশে আছি। দরকার পড়লে দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তোমাদের কোনও চিন্তা নেই।’’ শুক্রবার হরিয়ানায় আরও একটি বৈঠক হবে। সেখানে আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন রাকেশ।
কৃষকনেতার অভিযোগ, বিহার, উত্তরপ্রদেশে একই কাজ করেছে বিজেপি। পরিবার ভেঙেছে। কিন্তু তাঁদের ভাঙা সহজ হবে না বলেই দাবি রাকেশের। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের পরিবার ভেঙেছে। উত্তরপ্রদেশে মুলায়ম মিংহ যাদবের পরিবারের সঙ্গে ওরা কী করেছে সেটা আমরা দেখেছি। রাজস্থানেও একই ঘটনা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ওরা ভাঙতে পারবে না। কারণ, আমাদের পরিবার অনেক বড়। তা দিন দিন আরও বাড়ছে।’’
ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারির দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলন করছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটের মতো কু্স্তিগিরেরা। কেন্দ্রকে পাঁচ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন তাঁরা। তার মধ্যে দু’দিন পার হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কুস্তিগিরদের দাবি না মানলে চার দিক থেকে দিল্লি সীমান্ত ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন কৃষকেরা। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান রাকেশ বলেন, ‘‘কুস্তিগিরদের এই হেনস্থা মেনে নেওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার এক জনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আমরা ঠিক করেছি পাঁচ দিনের মধ্যে কুস্তিগিরদের দাবি না মানা হলে ৫ জুন দিল্লি ঘেরাও হবে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে কৃষকেরা গিয়ে দিল্লি সীমান্ত ঘেরাও করবে। তা ছাড়া দিল্লিতে দুধ ও সব্জির জোগান বন্ধ করে দেব আমরা।’’
কৃষকনেতাদের কথাতেই হরিদ্বারে গঙ্গায় নিজেদের সব পদক না ভাসিয়ে ফিরে এসেছেন কুস্তিগিরেরা। দেশের সম্মান যাতে নষ্ট না হয় সেই কারণেই তাঁরা কুস্তিগিরদের বুঝিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাকেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের হয়ে পদক জিততে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে কুস্তিগিরদের। তাই ওরা পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দিলে দেশের অসম্মান হত। সেই কারণেই ওদের আটকেছি। কিন্তু পাঁচ দিনের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ওদের আর আটকাতে পারব না।’’