রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছতে পারেননি অ্যাথলিটরা। ছবি: পিটিআই।
অ্যাথলিটদের রাষ্ট্রপতি অভিযান আটকে দিল দিল্লি পুলিশ। তাঁরা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ৩৫টি জাতীয় পদক ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (আইওএ) অ্যাথলিটদের কাছে আর্জি জানিয়েছে, তাঁরা যেন খেলাধুলো এবং আন্দোলনকে এক করে না দেখেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর যেন আস্থা রাখেন।
দিল্লিতে অ্যাথলিটদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এশিয়ান গেমসে দু’বারের সোনাজয়ী কুস্তিগীর কর্তার সিংহ।১৯৮২ সালে কর্তার অর্জুন পুরস্কার পান। ১৯৮৭ সালে পদ্মশ্রী। তাঁর সঙ্গে সোমবার ছিলেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী প্রাক্তন হকি প্লেয়ার গুরমিল সিংহ এবং মহিলাদের হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রাজবীর কৌর। ২০১৪ সালে গুরমিল ধ্যানচাঁদ পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে রাজবীর অর্জুন পুরস্কার পান।
’৭৮ এবং ’৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী কর্তার বলেন, ‘‘কৃষকরা সব সময়ই আমাদের সাহায্য করেন। ওঁদের উপর যখন লাঠিচার্জ হয়, ওঁরা যখন রাতের পর রাত এই ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে কাটান, তখন সত্যিই কষ্ঠ হয়। সব চেয়ে বড় কথা, আমি একজন কৃষকের সন্তান। নিজে পুলিশের আইজি হওয়া সত্ত্বেও এখনও কৃষিকাজ করি।’’ তাঁরা রবিবার রাতে দিল্লিতে পৌঁছন। প্রেস ক্লাব থেকে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু কৃষিভবনের কাছে তাঁদের আটকায় পুলিশ। ফলে রাষ্ট্রপতিভবনে তাঁরা পৌঁছতে পারেননি। কর্তার বলেন, ‘‘আমি চাই ওই তিন কড়া আইন প্রত্যাহার করা হোক। গোটা দেশ যখন করোনার ভয়ে কাঁপছে, তখন এই আইন করা হল। কেন এমন কড়া আইন করা হল?’’
আরও পড়ুন: রোহিতের শেষ দুই টেস্টে খেলার সম্ভাবনা বাড়ছে
আরও পড়ুন: নেতা কোহালির নতুন কীর্তি
তবে, খেলা আর রাজনীতি যাতে এক করে না দেখন অ্যাথলিটরা, তার জন্য অনুরোধ করেছে আইওএ। আইওএ প্রেসিডেন্ট নরিন্দর বাত্রা এবং যুগ্মসচিব রাজীব মেহতা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘অনেক ক্রীড়াবিদই তাঁদের পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে চাইছেন। জাতীয় পুরস্কার আর কৃষক বিক্ষোভ দু’টো পৃথক বিষয়’।