বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে নীরজের গর্জন। ছবি: পিটিআই
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নীরজ চোপড়ার পদক নিশ্চিত হতেই আনন্দের জোয়ার তাঁর পানিপথের বাড়িতে। পরিবারের মহিলারা আনন্দে গানের তালে নাচলেন। চলল মিষ্টি বিতরণ।
অলিম্পিক্স, ডায়মন্ড লিগের পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পদক। অ্যাথলেটিক্সের বিশ্ব মঞ্চে প্রতি বারই দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন নীরজ। তাঁর সাফল্যের আলোয় উজ্জ্বল পানিপথের বাড়িও। ঘরের ছেলের সাফল্য আনন্দের বাধ ভেঙেছে পরিজনদের। রবিবার সকাল থেকেই সকলে চোখ রেখেছিলেন টেলিভিশনের পর্দায়। ছিল টানটান উত্তেজনা। নীরজ কি পারবেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিততে? আত্মবিশ্বাসী মনগুলোর কোথাও এক টুকরো সংশয়ও লুকিয়ে ছিল।
সুদূর ওরিয়নে জ্যাভলিনের ফাইনালে নীরজের তৃতীয় প্রচেষ্টা পর্যন্ত সেই সংশয়ই ক্রমশ বড় হয়ে উঠছিল। তবে কি মাঠে মারা যাবে সব প্রস্তুতি? তা হয়নি। অলিম্পিক্স সোনাজয়ী সব সংশয় চুরমার করে দিলেন চতুর্থ প্রচেষ্টায়। ৮৮.১৩ মিটার দূরে নীরজের ছোড়া বর্শা মাটিতে গেঁথে যেতেই উচ্ছ্বাসের বাধ ভাঙে পরিজনদের। তখনই পদক কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেন নীরজ। অপেক্ষা তখন স্রেফ পদকের রং নিশ্চিত হওয়া। রুপো কি বদলাবে সোনায়? এই একটা প্রশ্নই পরিজনদের উচ্ছ্বাসের প্রকাশ কিছুটা স্তিমিত রেখেছিল।
শেষ পর্যন্ত সোনা হয়নি। রুপো নিয়েই থাকতে হয়েছে ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের সোনার ছেলেকে। সেটাই বা কম কী? গোটা দেশে কার আছে এমন সাফল্য? অতএব প্রতীক্ষার অবসান। উৎসবের শুরু। আট থেকে আশি—মেতে উঠলেন সকলেই। তাঁদের সেই উৎসবের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে সারা দেশে। পানিপথই যে আবার পথ দেখাল ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে। পথপ্রদর্শক পানিপথের ২৪ বছরের তরুণ।