রুপোর পদক গলায় নীরজ। ছবি: এএফপি
১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয় ভারতের। জ্যাভলিনে রুপো জয় নীরজ চোপড়ার। ৮৮.১৩ মিটার দূরে জ্যাভলিনে ছুড়ে রুপো পেলেন তিনি। ২০০৩ সালে অঞ্জু ববি জর্জের পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে আবার পদক জিতল ভারত।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের ফাইনালে শুরুটা ভাল হয়নি নীরজের। প্রথমটি ফাউল থ্রো করেন। গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটারস প্রথমেই ছোড়েন ৯০.২১ মিটার। নীরজের কাজটা কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয় সুযোগে নীরজ ছোড়েন ৮২.৩৯ মিটার। তৃতীয় সুযোগে দূরত্ব বাড়ান টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পদকজয়ী। নীরজ ছোড়েন ৮৬.৩৭ মিটার। কিন্তু পদক জয় থেকে তখনও দূরেই ছিলেন ২৪ বছরের নীরজ।
তিনটি করে থ্রোয়ের পর ১২ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে প্রথম আট জনকে বেছে নেওয়া হয়। তাঁরা ফের তিন বার জ্যাভলিন ছোড়ার সুযোগ পান। নিজের চতুর্থ থ্রোয়ে ৮৮.১৩ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছোড়েন নীরজ। সেই থ্রোয়েই পদক জয়ের আশা বাড়িয়ে দেন তিনি। পিটারসের পরেই নাম উঠে আসে তাঁর। নীরজের পঞ্চম থ্রোটি বাতিল হয়। তাতে পদক জয়ের ক্ষেত্রে কোনও ক্ষতি হয়নি।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে গত বছর সোনা জিতেছিলেন নীরজ। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে প্রয়োজন ছিল ৮৩.৫০ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছোড়া। প্রথম থ্রোতে ৮৮.৩৯ মিটার ছুড়ে সেই কাজটাই করে ফেলেছিলেন নীরজ। দ্বিতীয় সুযোগের আর প্রয়োজন ছিল না।
ফাইনালে নীরজ হারলেন পিটারসের কাছেই। তিনি জ্যাভলিন ছোড়েন ৯০.৫৪ মিটার। সোনা জিতলেন তিনি। গত বারও বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ব্রোঞ্জ পেলেন চেক প্রজাতন্ত্রের ইয়াকুব ভাদলেজ। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো পেয়েছিলেন তিনি। ভাদলেজ জ্যাভলিন ছোড়েন ৮৮.০৯ মিটার।
ভারতের রোহিত যাদবও জ্যাভলিনের ফাইনালে উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রথম তিনটি রাউন্ডের পরেই ছিটকে যান। দশম স্থানে শেষ করেন তিনি। রোহিতের সেরা থ্রো ৭৮.৭২ মিটার।