হ্যারি কেনদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ফাইল ছবি
ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলে এখন তারুণ্যের দাপাদাপি। হ্যারি কেন, মার্কাস র্যাশফোর্ড, ফিল ফোডেনরা যে কোনও দলের বিরুদ্ধে ত্রাসের সঞ্চার করেন। কিন্তু এর পরের প্রজন্মকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর সংশয়। কারণ, খুদে ফুটবলারদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহকে লঘু করে দেখার অভিযোগ উঠেছে খোদ ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) বিরুদ্ধেই।
সম্প্রতি বিচারপতি ক্লাইভ শেলডনের নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ সংস্থার প্রতিবেদন সামনে এসেছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ১৯৯৫ থেকে ২০০০, এই পাঁচ বছরে খুদে ফুটবলারদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন আটকাতে সদর্থক ভূমিকা নেয়নি এফএ। প্রতিবেদনের বক্তব্য, ওই সময় কড়া ভূমিকা নেওয়া হলে নির্যাতনের ঘটনা অনেক কম হতে পারত। যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, সেই সময়ের বেশ কিছু ফুটবলার এখনকার ইংল্যান্ড দলে রয়েছেন। ফলে তাঁরাও হয়তো যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকতে পারেন।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ব্যারি বেনেলের নাম। আমেরিকার এই ব্যক্তি ক্রমাগত খুদে ফুটবলারদের উপর যৌন নির্যাতন করে গিয়েছেন। অবশেষে ২০১৮ সালে তাঁকে ৩১ বছরে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। শেলডনের দাবি, এই ঘটনা আটকাতে ক্লাবগুলিও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেনি। কী করে এই ঘটনা আটকানো যায়, তা নিয়ে ১৩ দফা প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। কিন্তু এফএ তা কতটা পালন করবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।