মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব ফাইল চিত্র
ঘুষ নেওয়ার মারাত্মক অভিযোগ উঠল মহমেডানের প্রাক্তন সচিব ওয়াসিম আক্রমের বিরুদ্ধে। মহমেডান স্পোর্টিং-এর তরফ থেকে বিষয়টি আদালতে জানানো হয়েছে। অভিযোগ, প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার সোহেল খাত্রিকে আই লিগের দলে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওয়াসিম। তার বিনিময়ে তাঁর বাবা মহম্মদ ইসমাইল খাত্রির কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন বলে অভিযোগ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে। ছেলেকে দলে সুযোগও করে দিতে পারেননি ওয়াসিম। টাকাও ফেরত দেননি তিনি। এই অভিযোগ জানিয়ে ১৫ জানুয়ারি ক্লাবে চিঠি দেন মুম্বই নিবাসী ইসমাইল। সেই চিঠি এসেছে আনন্দবাজার ডিজিটাল-এর হাতে।
চিঠিতে ইসমাইল লেখেন, ‘আমি ক্লাব কমিটির সদস্যদের কাছে অনুরোধ করছি আমার পাঁচ লক্ষ টাকা যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ওয়াসিম আক্রম আমাদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর আমায় জাভেদ ও ওয়াসিম জানায় পাঁচ লক্ষ টাকা দিলে তাঁরা আমার ছেলেকে আই লিগে খেলার ব্যবস্থা করে দেবেন। সেই মতোই ১৬ ডিসেম্বর রাত ৮টায় কলকাতার এক হোটেলে আমি ওঁদের সঙ্গে দেখা করি। ওয়াসিম ও জাভেদ ভাই আমাদের আবারও আশ্বাস দেন। আমি দুই দিন ছেলের সঙ্গে ছিলাম। ছেলে দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছিল। ওকে দলের কিটও দেওয়া হয়। নিশ্চিন্ত হয়ে আমি মুম্বই ফিরে আসি। কিন্তু এরপর আর সোহেলকে সই করাননি ওয়াসিম। বারবার টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও সেটা করেননি। আমার ছেলের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছেন ওয়াসিম। এখন ফোন ধরেন না। হোয়াটসঅ্যাপেও ব্লক করেছেন আমাদের। আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল মহমেডানের হয়ে খেলা। আমি প্রথমে চেয়েছিলাম ওকে পর্তুগালে পাঠিয়ে ফুটবল শেখানোর ব্যবস্থা করব। কিন্তু মহমেডানের সুযোগটা পেয়ে যাওয়ায় আমরা আর তা করিনি। মহমেডানে পাঠিয়ে দিই ছেলেকে। তবে এখানেই শেষ নয়, গত বছর ২৫ আগস্ট দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ চলার সময় আরও এক লক্ষ টাকা আমি ক্লাবকে দিই। দয়া করে এই টাকা আমায় ফেরত দিন’।
ওয়াসিম আক্রম আনন্দবাজার ডিজিটাল-এর কাছে পাল্টা অভিযোগ করে জানান, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যত খুশি অভিযোগ ওঁরা আনতেই পারেন। আমার কিছু বলার নেই। সবটাই প্রমাণ সাপেক্ষ। প্রমাণ না করতে পেরে অনেক সাজানো ঘটনা সামনে নিয়ে আসছেন ওঁরা। দীর্ঘদিন ধরেই ক্লাবে অনুদান দেন মহম্মদ ইসমাইল খাত্রি। আমার আসার আগেও তিনি অনুদান দিয়েছেন। এই টাকাটাও অনুদান হিসেবেই দিয়েছিলেন তিনি। তাই এই অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে।’’
মহম্মদ ইসমাইল খাত্রির লেখা অভিযোগ পত্র নিজস্ব চিত্র