ফাইল চিত্র।
ফিফা র্যাঙ্কিং তালিকার এক নম্বর বনাম গত বারের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের দ্বৈরথ।
কিন্তু আজ, রবিবার সেভিয়ায় ফুটবলপ্রেমীদের চোখ থাকবে দুই তারকার দিকে। বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু, যিনি গ্রুপ পর্যায়ে তিন গোল করে ফেলেছেন। অন্য জন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, যিনি গ্রুপ পর্যায়ে পাঁচ গোল করে স্বপ্ন দেখছেন ইউরো ২০২০-র সর্বোচ্চ গোলদাতার ট্রফি হাতে তোলার।
গ্রুপে বিশ্বজয়ী ফ্রান্স ও জার্মানির বিরুদ্ধে মোট তিন গোল করেছেন সি আর সেভেন। এ বার নিশানায় বেলজিয়াম রক্ষণ। বন্ধু পেপের সঙ্গে স্পেনে এই ম্যাচ খেলতে আসার পথে উড়ানের মধ্যে তোলা ছবি টুইট করে লিখেছেন, ‘‘চলো, এ বার মাঠে নামার পালা।’’ বার্তা স্পষ্ট, বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন রোনাল্ডো।
পর্তুগালের হয়ে আর এক গোল করলেই জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বাধিক ১১০ আন্তর্জাতিক গোল হয়ে যাবে রোনাল্ডোর। পিছনে ফেলে দেবেন ইরানের আলি দাইকে (১০৯ গোল)।
অন্য দিকে, ৯৬ ম্যাচে লুকাকুর আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যা ৬৩। রবিবার ইউরো ২০২০-র মহারণের আগে সেই রোনাল্ডোই প্রেরণা দিচ্ছে ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকারকে। তিনি বলেছেন, ‘‘এই বয়সেও যন্ত্রের মতো গোল করে যাচ্ছে রোনাল্ডো। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলসংখ্যায় ওর যতটা কাছে্ যাওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করে চলেছি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘কেউ আমার চেয়ে ভাল বললে তাঁকে প্রতিযোগিতায় হারাতে পছন্দ করি। রোনাল্ডোও সব ম্যাচেই সেরা হতে চায়।’’
বেলজিয়ামের টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে লুকাকু আরও বলেছেন, ‘‘রবার্ট লেয়নডস্কি, হ্যারি কেন ও করিম বেঞ্জেমাকে বিশ্বমানের স্ট্রাইকার বলেন অনেকে। আমার ক্ষেত্রে তাঁরা বলেন, ছন্দে রয়েছে। কিন্তু আমিও এখন বিশ্ব পর্যায়ে সেই তালিকায় জায়গা পাকা করতে চাই। সেটাই আমার লক্ষ্য।’’ যোগ করেছেন, ‘‘বছরটা ট্রফি দিয়ে শুরু হয়েছে। ইন্টার মিলানের হয়ে সেরি আ জেতার পরে এ বার বেলজিয়ামের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। এই দলটা তার যোগ্য। গত বিশ্বকাপে এতটা পরিণত ছিলাম না আমরা। এখন জেতার রাস্তা সহজেই বার করতে পারি।’’
লুকাকুদের কোচ রবের্তো মার্তিনেস অবশ্য রোনাল্ডোকে নিয়ে বেশি ভাবতে নারাজ। মহারণের আগে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রোনাল্ডোকে আটকানোর জন্য বিশেষ কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘‘অবশ্যই পর্তুগালের আক্রমণ ভাগকে রুখতে হবে। কিন্তু বিশেষ কোনও ফুটবলারকে বেশি নজর দিতে গেলে বিপক্ষের বাকিদের উপর থেকে চাপটা হালকা হয়ে যাবে। সেটা চাই না।’’ যোগ করেছেন, ‘‘রোনাল্ডো অবশ্যই বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ঠিক সময়ে নিখুঁত পাস বাড়িয়ে বা গোল করে বিপক্ষকে ধরাশায়ী করে দেয়। তাই ওকে নজরে রাখতে হবে, তার সঙ্গে বাকিদের প্রতিও সজাগ দৃষ্টি থাকবে। ওদের খেলার বৈচিত্র প্রচুর।’’
গতবারের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে মার্তিনেসের মূল্যায়ন, ‘‘ওদের ইতিবাচক ও লড়াকু মানসিকতা সকলেরই অনুসরণ করা উচিত। সে কারণেই দলটা ইউরো ও নেশনস লিগ জিতেছে।’’
নিজের দল সম্পর্কে লুকাকুদের গুরু বলেছেন, ‘‘আমাদের আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে। দল ছন্দে রয়েছে। কয়েকটি জায়গায় উন্নতি করতে হবে। দেখতে হবে দর্শকরা খেলা দেখে আনন্দ পাচ্ছেন কি না। সেটা তখনই সম্ভব, যদি আমরা ভাল খেলি।’’