তাঁরা ভারতীয় ক্রিকেটের একেক জন নক্ষত্র। তাঁদের ব্যাট, বলে মেতে ওঠে গোটা দেশ। খেলতে খেলতে পড়াশোনার দিক থেকে নজর সরেছে এঁদের অনেকেরই। কেউ আবার খেলার সঙ্গে সমান ভাবে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনাও। দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় তারকাদের পড়াশোনা কতটা।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্যাট হাতে নেমে পড়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ওয়াসিম আক্রম, ইমরান খানদের সামলাতে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি।
বিরাট কোহলীকে মনে করা হয় ভারতীয় ক্রিকেটে সচিনের উত্তরসূরি। মাস্টার ব্লাস্টারের রেকর্ড একমাত্র তিনিই ভাঙতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। পড়াশোনার দিকেও কোহলী যেন সচিনের ভাবশিষ্য। দ্বাদশের পর আর পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি।
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি রেলের টিকিট পরিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছিলেন। বাণিজ্য শাখায় স্নাতক এই ভারতীয় ক্রিকেটার পড়াশোনার দিকেও দিয়েছিলেন সমান নজর।
ধোনির সতীর্থ যুবরাজ সিংহ যদিও উচ্চশিক্ষার দিকে যাননি। ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব সামলে সচিন, সৌরভদের সাজঘরে পা রাখা এই অলরাউন্ডার দ্বাদশ শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করতে পারেননি।
তিনি ব্যাট করতে নামলে তটস্থ থাকেন বোলাররা। ছয়ের বন্যা বইয়ে দেওয়া রোহিত শর্মাও দ্বাদশ শ্রেণির পর ক্রিকেটেই মন দিয়েছিলেন।
ভারতের হয়ে টেস্টে সব চেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া অনিল কুম্বলে ক্রিকেটের সঙ্গে সমান তালে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনাও। মেকানিক্যাল ইনিজিনিয়ার এই ক্রিকেটার পরিচিত তাঁর ছবি তোলার নেশার জন্যও।
ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন ভারতের নতুন অধিনায়কও। কোহলীর অবর্তমানে শ্রীলঙ্কা সফরে গুরুদায়িত্ব শিখর ধওয়নের কাঁধে। দ্বাদশ শ্রেণির পর আর সেই দিকে এগোতে পারেননি তিনি।
দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার আশায় কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন জাহির খান। তবে দেশের হয়ে বল হাতে উইকেট নেওয়ার দায়িত্ব সামলে সেই পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি তিনি।
বিশ্ব ক্রিকেটে তাঁকে ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে তুলনা করা হত। সেই বীরেন্দ্র সহবাগ ক্রিকেটের সঙ্গে পড়াশোনাও চালিয়ে গিয়েছেন। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি।
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক হন। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক খেলার সঙ্গে পড়াশোনাও চালিয়ে গিয়েছেন সমান তালে।