উন্মোচন: শনিবার ইস্টবেঙ্গলের নতুন জার্সি পরে দুই ফুটবলার সামাদ আলি মল্লিক এবং পিন্টু মাহাতো। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
শতবর্ষের সেরা আবিষ্কার ভাইচুং ভুটিয়া। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের শ্রেষ্ঠ অধিনায়কের সম্মান পেতে চলেছেন সুধীর কর্মকার। ক্লাবের কর্ম সমিতির বৈঠকের পরেই তাঁর নাম সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হবে।
কেন সুধীর কর্মকার সেরা অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে? লাল-হলুদ কর্তাদের যুক্তি, ‘‘১৯৭২ সালে সুধীর কর্মকারের নেতৃত্বেই ভারতের প্রথম ক্লাব হিসেবে ত্রিমুকুট জিতে ইতিহাস গড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। শুধু তাই নয়। সেই মরসুমে কোনও ম্যাচ হারেনি। মোট পাঁচটি ট্রফি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। অবিশ্বাস্য এই পারফরম্যান্স যাঁর নেতৃত্বে হয়েছে, সেরা অধিনায়কের সম্মান তাঁরই প্রাপ্য।’’ উচ্ছ্বসিত কিংবদন্তি ডিফেন্ডার আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আমাকে আগেই সম্মানিত করেছে। তাই নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই। আমার প্রিয় ক্লাব যেন এ ভাবেই এগিয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গল সাফল্য পেলেই আমি খুশি।’’ অসুস্থতার কারণে আজ, রবিবার অবশ্য প্রিয় ক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে প্রাক্তন অধিনায়কের।
সুধীর কর্মকারকে সেরা অধিনায়কের সম্মান দেওয়ার উদ্যোগের মধ্যেই নতুন জার্সি উদ্বোধন হল শনিবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে। ১৯২৫ সালে প্রথম বার মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ১-০ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। একমাত্র গোলটি করেছিলেন নেপাল চক্রবর্তী। সেই জার্সি লাল-হলুদের প্রাক্তন তারকার বাড়িতেই সংরক্ষিত ছিল। নতুন জার্সি বানানো হয়েছে অতীতের অনুকরণেই। যা পরে এই মরসুমে খেলবেন সামাদ আলি মল্লিক, পিন্টু মাহাতোরা। শনিবার বিকেলে নতুন জার্সি পরেই সাংবাদিক বৈঠকে এলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই ফুটবলার। ক্লাবের সচিব কল্যাণ মজুমদার বললেন, ‘‘ক্লাবের প্রথম জার্সির অনুকরণে এ বারের জার্সি বানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনেক খুঁজেও তা পাওয়া যায়নি। ডার্বিতে আমাদের প্রথম গোলদাতা নেপাল চক্রবর্তীর বাড়িতে একটি জার্সি ছিল। সেটা ১৯২৫ না ’২৬-এর তা নিশ্চিত নই। প্রাচীন ওই জার্সির অনুকরণেই তৈরি করা হয়েছে এ বারের জার্সি।’’ সমর্থকেরাও ক্লাব থেকে এই জার্সি কিনতে পারবেন।
শতবর্ষের উৎসবের সূচনা হবে আজ, রবিবার সকাল সাড়ে আটটায় কুমোরটুলি পার্কে। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্যেরা। মশাল জ্বালাবেন প্রাক্তন ফুটবলারেরা। এর পরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হবে পদযাত্রা। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, গ্রে-স্ট্রিট, হাতিবাগান, বিধান সরণি হয়ে ময়দানে ক্লাব তাঁবুতে পৌছবে শোভাযাত্রা। মশাল তুলে দেওয়া হবে সুভাষ ভৌমিক, ভাইচুং ভুটিয়া-সহ অন্যান্য প্রাক্তন ফুটবলারদের হাতে। তবে মাথায় হেলমেট না থাকলে কোনও বাইক আরোহীকেই শোভাযাত্রায় যোগ দিতে দেওয়া হবে না। শতবর্ষের সূচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গোষ্ঠ পালের পরিবারকেও। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম অধিনায়ক যে তিনিই ছিলেন!