বিতর্ক: সোমবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে চলছে ফুটবলারদের ট্রায়াল। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে, সে জন্য ময়দানের সমস্ত মাঠের খেলা বন্ধ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে তাঁবুতে জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
ইস্টবেঙ্গল-সহ সমস্ত ক্লাবকে ডেকে সভা করে ৩১ মার্চ পর্যন্ত খেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও ঘেরা মাঠে বা স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে না। এমনকী যুবভারতীতে ফাঁকা মাঠে ডার্বি করারও অনুমতি দেননি মুখ্যমন্ত্রী। ইস্টবেঙ্গলও অবশ্য ফাঁকা মাঠে ডার্বি খেলতে চায়নি।
কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের নিয়ম উপেক্ষা করে সোমবার সকালে ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুষ্ঠিত হল ম্যাচ। ক্লাব সূত্রের খবর, পরের মরসুমে দল তৈরির জন্য ট্রায়ালে ডাকা হয়েছিল বিভিন্ন রাজ্যের ফুটবলারদের। সিকিম, কেরল, মিজোরাম, মণিপুর থেকে জনা বাইশ ফুটবলার এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ইনকাম ট্যাক্সের মেহতাব হোসেন, অসীম বিশ্বাস, অর্ণব মণ্ডলরা ম্যাচ খেলেন। ভাইচুং ভুটিয়া, অ্যালভিটো ডি’কুনহা, চন্দন দাসের মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা ছিলেন মাঠে। কর্তা, অনূর্ধ্ব ১৮ ফুটবলার মিলিয়ে প্রায় ৪০-৫০ জন উপস্থিত ছিলেন মাঠে। গ্যালারিতেও ছিলেন কিছু ফুটবলারের অভিভাবকও। এই ঘটনায় ময়দান জুড়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সবাই যখন সরকারের নির্দেশ মানছে, তখন ইস্টবেঙ্গল মাঠে এত লোকের জমায়েত হল কী করে? কোন টুনার্মেন্টের জন্য ট্রায়াল? পরের মরসুমের আই লিগ না আইএসএল?
ক্লাবের পক্ষে ট্রায়ালের অন্যতম আয়োজক অ্যালভিটো ডি’কুনহা বললেন, ‘‘পরের মরসুমে দলে তৈরির জন্য ট্রায়াল হয়েছে। সিনিয়র, রিজার্ভ দলের জন্য ফুটবলার বাছা হচ্ছে। তুষারদা (রক্ষিত), চন্দন, ষষ্ঠীরা খেলোয়াড় বাছবে। ২৩ মার্চ পর্যন্ত হবে ট্রায়াল।’’ কবে ঠিক হয় ম্যাচের দিন? ইনকাম ট্যাক্সের ডিফেন্ডার অর্ণব মণ্ডল বললেন, ‘‘দু’দিন আগে বলা হয় ম্যাচ হবে। আমরা খেলতে এসেছিলাম। ১-২ গোলে হেরেছি।’’
আই লিগ না আইএসএল, শতবর্ষে কোন প্রতিযোগিতায় খেলবে ইস্টবেঙ্গল, এখনও তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু যেখানেই খেলুক, ট্রায়াল থেকে ফুটবলার নিয়ে দল গঠন হবে? আই লিগ পরের বছর কার্যত দ্বিতীয় শ্রেণির প্রতিযোগিতা হয়ে যাবে। সেখানেই কী খেলবে লাল-হলুদ? তারই প্রস্তুতি কি শুরু হল? এ বছর ট্রফিহীন লাল-হলুদ। শতবর্ষেও কী মুখ লুকিয়ে ঘুরবেন লাল-হলুদ সদস্য-সমর্থকেরা?