রক্ষণ নিয়ে চিন্তিত আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস।
বড় ম্যাচের আগেই ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলে। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ালেন লাল-হলুদ শিবিরের সহকারী কোচ।
ইতিমধ্যেই ক্লাবের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইস্তফা দিয়েছেন। এ দিন লাল-হলুদ শিবিরে বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় সহকারী কোচ জোসেপ মারিয়া ফেরে। (ময়দানে পরিচিত ছিলেন কোকো নামে) পারিবারিক কারণে ইস্তফা দিয়ে দ্রুত দেশে ফিরছেন তিনি। তাঁর জায়গায় আসতে চলেছেন মার্কয় ট্রুয়স সেভিয়ানো। শনিবারেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
এ দিকে, শুক্রবার গোটা দলকে নিয়ে জিম সেশনেই সময় কাটান ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস। ইস্টবেঙ্গল কোচের চিন্তা বাড়িয়েছে, তাঁর রক্ষণের ভাল খেলতে না পারা। গোকুলমের বিরুদ্ধে দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের চার ডিফেন্ডার একই সরলরেখায় দাঁড়িয়ে পড়ছেন। তাই এ দিন জিম সেশনের মাঝেই মার্তি ক্রেসপিদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। আলেসান্দ্রোর চিন্তা বাড়িয়েছে, আক্রমণে খুয়ান মেরা ছাড়া বাকিরা সে ভাবে সচল হতে পারছে না। গত মরসুমে দুরন্থ ছন্দে থাকা খাইমে সান্তোস কোলাদো এই মরসুমে সে ভাবে খেলতে পারছেন না। তাই ডার্বির আগে এই ভুলত্রুটি শোধরানোর জন্য শনিবার সাইতে লোকচক্ষুর অন্তরালে অনুশীলন করবে ইস্টবেঙ্গল। এ দিকে, আইএসএলে খেলার জন্য এটিকের সঙ্গে মোহনবাগানের চুক্তি নিয়ে লাল-হলুদ সমর্থকেরা ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এ দিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আশা করি, ইস্টবেঙ্গলও এ রকমই কোনও পথ বেছে নেবে। দু’টি ক্লাবই ঐতিহ্যশালী। দুই ক্লাবেরই আইএসএল খেলা উচিত। শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’
বার্ষিক ক্রীড়া: উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক ক্রীড়া ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি হবে ইছাপুর মেটাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স-এ। যোগ দেবেন প্রায় আটশো অ্যাথলিট।