টানা সাত বার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে ইস্টবেঙ্গল। আজ রবিবার আরও একটি চমকপ্রদ রেকর্ড করার লক্ষ্য রয়েছে লাল-হলুদের সামনে।
সেটা কী? যদি আজ বারাসতে ডু ডংরা এরিয়ানকে হারাতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলই হবে ভারতের প্রথম ক্লাব, যারা একটি ম্যাচও না হেরে তিন বার ঘরোয়া লিগ জিতবে।
ট্রেভর জেমস মর্গ্যান এবং তাঁর সহকারী ড্রাইডেন দেশে ফিরে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শনিবার গোলকিপার কোচ অভিজিৎ মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে জিম করেছে পুরো টিম। এ দিন অভিজিৎ বলে দিলেন, ‘‘আমরা রেকর্ড নিয়ে ভাবছি না। তবে অপরাজিত থেকে কলকাতা লিগ শেষ করতে চাই। সেটাই আমাদের সবার লক্ষ্য।’’
কলকাতা লিগে এই মরসুমে তিন প্রধানের খেলার দাঁড়ি পড়ার দিনে আরও একটি ম্যাচ আছে কল্যাণীতে। খেলবে মোহনবাগান এবং মহমেডান। যে ম্যাচটার গুরুত্ব প্রায় নেই-ই। সব থেকে মজার ব্যাপার, গুরুত্বহীন এই ম্যাচটি খেলার জন্য দু’দিন আগেই কল্যাণীতে চলে এসেছেন বিদেমি-ডাফিরা। বাগানের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী বা সাদা-কালোর কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেরই লক্ষ্য, সম্মান রক্ষা করে রানার্স হয়ে লিগ শেষ করা। ডার্বি না খেলার খেসারত দিয়ে লিগ হাতছাড়া হয়েছে বাগানের। স্বভাবতই বাগান ফুটবলারদের মোটিভেশন এখন তলানিতে। ভেস্তে যাওয়া রিপ্লে ম্যাচে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর কাছে হেরেছে বাগান। মহমেডানও আগের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরেছে।
ইস্টবেঙ্গলকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কারিগর মহম্মদ রফিক চোটের জন্য প্রায় তিন-চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছেন। হাল্কা চোট রয়েছে মেহতাব হোসেন এবং কালাম অ্যাঙ্গাসেরও। তবে তাঁদের খেলানোর জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে।
এরিয়ান এই মুহূর্তে আবার অবনমনের আওতায়। আজ ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারলে তারা অবনমনের আশঙ্কা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসতে পারবে। সে জন্য রঘু নন্দীর টিমও মরিয়া ম্যাচটি জিততে।
এ দিকে ২০ সেপ্টেম্বর রয়েছে লিগ সাব কমিটির সভা। ওই সভার ফল নিয়ে এখন আর কারও আগ্রহ নেই। কারণ ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে। আজ রবিবারের পর রানার্স কে হবে, সেটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাই আইএফএ মোহনবাগানের কত পয়েন্ট কাটল, তা নিয়েও আর কোনও আকর্ষণ থাকবে না। আইএফএ কর্তাদের উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল।
রবিবারে কলকাতা লিগ
ইস্টবেঙ্গল: এরিয়ান (বারাসত ২-৩০)
মোহনবাগান: মহমেডান (কল্যাণী ২-৩০)।