মিনার্ভার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ফের যাতে বিতর্কিত গড়াপেটার ‘ভূত’ এবং রেফারির ভুলভ্রান্তি-র শিকার না হতে হয়, তার জন্য বিদেশি রেফারি ও একাধিক ম্যাচ-পরিদর্শক চেয়ে ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেই চিঠি দেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই চণ্ডীগড়ের দলটির থেকে একাধিক অসহযোগিতার সম্মুখীন লাল-হলুদ শিবির।
রবিবার চণ্ডীগড় থেকে ফোনে লাল-হলুদ শিবিরের ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘যে স্টেডিয়ামে খেলা হবে সেখানে অনুশীলন করতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তা পাওয়া দেওয়া হয়নি। এমনকি অনুশীলনের সময় নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। এটা অপেশাদার মনোভাবের পরিচয়।’’
লাল-হলুদ শিবির সূত্রে খবর, মঙ্গলবার যে স্টেডিয়ামে মিনার্ভার বিরুদ্ধে আই লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সেখানেই রবিবার অনুশীলন করার আবেদন জানিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তা পত্রপাঠ নাকচ করে দেওয়া হয় আয়োজকদের তরফে। বলা হয়, অ্যাকাডেমির মাঠে অনুশীলন করতে। এমনকি দু’টোর বদলে বিকেল চারটে থেকে এক ঘণ্টা অনুশীলনের সময় দেওয়া হয় আমনা-দের। যা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকি ম্যাচের আগের দিন আজ সোমবার কোথায় কাতসুমিদের অনুশীলন হবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জট। ইস্টবেঙ্গল চেয়েছিল, বেলা দু’টো থেকে অনুশীলন করতে। কিন্তু মিনার্ভার তরফে জানানো হয়, ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনের সময় এ দিনের মতোই বিকেল চারটে থেকে পাঁচটা। লাল-হলুদ শিবিরের তরফে পাল্টা বলা হয়, খেলা যখন দুপুর দু’টোয়, ম্যাচের আগের দিন চারটে থেকে অনুশীলন বলে ফুটবলারদের বিশ্রামের জন্য চব্বিশ ঘণ্টাও পাওয়া যাবে না। যা নিয়ে আলোচনা, পাল্টা আলোচনা চলে রাত পর্যন্ত। পরে সকাল সাড়ে দশটা থেকে এ দিনের অনুশীলনের সময় জানানো হয়। এ দিকে, এ দিন পুরো দল নিয়ে অনুশীলন করেন খালিদ জামিল। দলের সঙ্গে পুরো সময় অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে দলের সিরিয়ান মিডিও মহম্মদ আল আমনাকেও।