মাঠে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা কাস্টমসের ফুটবলাররা। এল না ইস্টবেঙ্গল।
মাঠে উপস্থিত ছিল কলকাতা কাস্টমস। কল্যাণী স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছিল আইএফএ। অথচ ইস্টবেঙ্গলই মাঠে এল না। লাল-হলুদের জন্য ৩২ মিনিট অপেক্ষায় ছিলেন রেফারি, ম্যাচ কমিশনার। তার পরে ওয়াক ওভার দিয়ে দেওয়া হয় কাস্টমসকে।
ইস্টবেঙ্গল মাঠে না এলেও কাস্টমসের কোচ-টিডি এবং ফুটবলাররা মাঠে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা গা ঘামাচ্ছিলেন। ইস্টবেঙ্গল আসবে কি আসবে না, সেই সম্পর্কে কোনও তথ্যই ছিল না রেফারি-ম্যাচ কমিশনারের কাছে। প্রায় আধ ঘন্টা অপেক্ষার পরে ওয়াকওভার পায় কাস্টমস। ফলে ৬১ বছর পরে কলকাতা পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন। ১৯৫৮ সালে ইস্টার্ন রেল লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তার পরে এ বার জহর দাসের পিয়ারলেস কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হল। মাঝের সময়টায় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাব-তাঁবুতেই গিয়েছে কলকাতা লিগ ট্রফি। ১৯৮২ সালে মহমেডান স্পোর্টিং জিতেছিল কলকাতা লিগ। এ বার শুরু থেকেই পিয়ারলেস ভাল পারফরম্যান্স তুলে ধরেছে। ইস্ট-মোহনকে মাটি ধরিয়েছেন ক্রোমারা।
লিগের সূচি অনুযায়ী, ২৯ সেপ্টেম্বর ছিল ইস্টবেঙ্গল বনাম কাস্টমস ম্যাচ। সে দিনই বারাসতে ছিল পিয়ারলেস বনাম জর্জ টেলিগ্রাফের ম্যাচও। ঘরের মাঠে মোহনবাগান নেমেছিল কালীঘাট এমএস-এর বিরুদ্ধে। তিনটি ম্যাচ ছিল একই দিনে। বানের জল ঢুকে পড়ায় ইস্টবেঙ্গল মাঠে বল গড়ায়নি। বারাসতে পিয়ারলেসের কাছে হেরে গিয়েছিল জর্জ টেলিগ্রাফ। ফলে লিগ জিততে হলে ইস্টবেঙ্গলকে সাত গোলের ব্যবধানে জিততে হত কাস্টমসের বিরুদ্ধে। কিন্তু, সে ম্যাচ কবে হবে তা নিয়েই চলছিল জল্পনা।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে প্রথম টেস্টেই ডাবল সেঞ্চুরি! গাওস্করকে ছুঁলেন ময়াঙ্ক
বহু চিঠি-ই মেল আদানপ্রদান করা হয় ইস্টবেঙ্গল ও আইএফএ-র মধ্যে। দু’ পক্ষেই অনড় অবস্থান নেয়। ইস্টবেঙ্গল ৩ তারিখ খেলতে চায়নি। লাল-হলুদের স্পেনীয় কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজ গোটা দলকে ছুটি দিয়ে দেন ৩ তারিখ। কোচ-সহ স্পেনীয় ফুটবলাররা এ দিন রাতেই শহর ছাড়বেন। অন্য দিকে, আইএফএ লাল-হলুদ শিবিরকে ম্যাচটি খেলার অনুরোধ জানিয়েছিল। এমনকি আইএফএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, পুলিশের পাইলট কার দিয়ে স্পেনীয় ফুটবলারদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু, বরফ গলেনি তাতেও।
মাঠে অপেক্ষারত রেফারিরা।
এ দিন বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফ থেকে মেল পাঠিয়ে তাঁদের অবস্থান জানানো হয়। সেই মেলে লেখা হয়েছে, ২৯ তারিখের ভেস্তে যাওয়া ম্যাচটা কোচ মেনেন্দেজ খেলতে চেয়েছিলেন ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনও দিন। কিন্তু, বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছে সরকারি ভাবে জানানো হয়নি, ম্যাচটি কবে হতে চলেছে। ইস্টবেঙ্গলের তরফে ম্যাচটি ২১ অক্টোবর বা তার পরে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। আইএফএ মানেনি সেই অনুরোধ।
আরও পড়ুন: ময়াঙ্কের ২১৫, রোহিতের ১৭৬, বিশাখাপত্তনমে রানের পাহাড়ে ভারত
ফলে কল্যাণীতে দল নিয়ে যায়নি ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা কাস্টমস গা ঘামাচ্ছিল। রেফারি-ম্যাচ কমিশনাররা আধ ঘন্টা অপেক্ষা করেন। তাঁরা এ বার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবেন আইএফএ-র লিগ সাব কমিটির কাছে। পুজোর জন্য ছুটি পড়ে যাচ্ছে আইএফএ। লক্ষ্মীপুজোর পরে আবার আইএফএ খুললে এই ম্যাচের রিপোর্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।