ফের শারীরিক হেনস্থার ঘটনা প্রতীকী ছবি
যৌন হেনস্থা বিতর্কে এখন উত্তাল ভারতের খেলাধুলো। ফুটবল থেকে সাইক্লিং, সব ধরনের ক্রীড়াবিদই যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত হিসাবে দায়ী করা হচ্ছে কোচকে। এ বার মুখ খুললেন ভারতের দ্রুততম মহিলা দৌড়বিদ দ্যুতি চন্দও। তবে তাঁর অভিযোগ, হস্টেলে থাকাকালীন সিনিয়ররা খারাপ ব্যবহার করেছেন তাঁর সঙ্গে। এই নিয়ে তোলপাড় ওড়িশার ক্রীড়ামহল।
সম্প্রতি ভুবনেশ্বরে ওড়িশা সরকার পরিচালিত হস্টেলে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। রুচিকা মোহান্তি নামে আত্মঘাতী ওই ছাত্রী তাঁর সুইসাইড নোটে লিখে রেখে গিয়েছেন, তিন সিনিয়র তাঁকে দিনের পর দিন মানসিক ভাবে হেনস্থা করেছেন। সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। রুচিকার আত্মহত্যা নিয়ে ওড়িশায় কংগ্রেস এবং বিজেপি-র মধ্যে কার্যত যুদ্ধ লেগে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি সরকারে দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে।
এই ঘটনার পরেই মুখ খুলেছেন দ্যুতি। নেটমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ভুবনেশ্বরের স্পোর্টস হস্টেলে থাকার সময় সিনিয়ররা জোর করে আমাকে দিয়ে ওদের শরীর ম্যাসাজ করাত। কাপড় কাচাত। প্রতিবাদ করলেই নানা ভাবে হেনস্থা করা হত। মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। কেউ সাহায্য করেনি। খেলাধুলোয় মনঃসংযোগ রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছিল। যারা সহ্য করতে পারে তারাই হস্টেলে টিকে থাকে। বাকিরা মাঝপথেই হাল ছেড়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।’
দ্যুতি ছাড়া আরও অনেকে মুখ খুলেছেন। তবে এই স্প্রিন্টারের মন্তব্য নিয়েই হইচই হচ্ছে বেশি। অনেকেরই অভিযোগ, স্পোর্টস হোস্টেলে এই ঘটনা প্রায়শই দেখা যাচ্ছে। রুচিকার আত্মহত্যা তা আর এক বার সামনে এনে দিল।