দুরন্ত মুশফিকুর। রবিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: এএফপি।
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে দলকে জয়ের কিনারায় পৌঁছে দিয়েও জেতাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। শেষলগ্নে আউট হন তিনি। তার পরই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। সেই পরাজয়ের যন্ত্রণা এখনও তাড়া করে তাঁকে।
আর তাই রবিবার নয়াদিল্লিতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচ-জেতানো ইনিংস স্বস্তি দিচ্ছে তাঁকে। ১৪৯ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে সাত উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ৪৩ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর। সিরিজে ১-০ এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে তিনি বলেছেন, “ভারতের বিরুদ্ধে অনেক ক্লোজ ম্যাচ হেরেছি। তাই আমরা নিজেদের কাছেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম যে, পরের বার যদি এমন কোনও হাড্ডাহাড্ডি পরিস্থিতি তৈরি নয়, তা হলে কিছুতেই হেরে ফিরব না।”
গত দুই মাস খুব খারাপ কেটেছে বলে জানিয়েছেন মুশফিকুর। ১৫ বছরের কেরিয়ারে এই দুই মাস সবচেয়ে কঠিন ছিল বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশ ছাড়ার আগে তাই বলে এসেছিলাম যে আমরা যদি কয়েকটা ম্যাচ জিতি তা হলে সবকিছু ঠিকঠাক দেখাবে। আর আমরা সেটাই করেছি। এই ছন্দেই খেলতে চাইব। ধারাবাহিক থাকাই লক্ষ্য।”
আরও পড়ুন: ঋষভ কি ডিআরএস নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত? রোহিত বললেন...
আরও পড়ুন: অভিজ্ঞতা বাজারে কেনা যায় না, ভারতের হারের পর টুইট মনোজের
ভারতের বিরুদ্ধে খেলার হোমওয়ার্ক নিয়ে মুশফিকুর বলেছেন, “ভারতের বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচ আমরা শেষ ওভারে হেরেছিলাম। সেই ম্যাচ দুটো থেকে শিক্ষা নিয়েছি আমরা। এই মুহূর্তগুলো কী ভাবে পেরিয়ে যাব, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। রিয়াদ ভাইকে (মাহমুদুল্লাহ) বলছিলাম যে, এক-দুই করে জয়ের দিকে এগিয়ে চলি। বড় শট নেওয়ার দরকার নেই। এই ম্যাচে আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। শুধু এই ম্যাচই নয়। এই সিরিজেই আমাদের হারানোর কিছু নেই। ফলে আমরা নির্ভীক ক্রিকেট খেলতে পেরেছি। নিজেদের ক্ষমতা মেলে ধরার স্বাধীনতাও পেয়েছি।”
এই জয়কে ‘অসাধারণ’ অ্যাখ্যা দিয়ে মুশফিকুর আরও বলেছেন, “বাংলাদেশের কাছে এটা দারুণ মুহূর্ত। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ভারতকে হারাতে পারিনি। এই সিরিজে আমরা কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে পাচ্ছি না। কিন্তু যে ভাবে তরুণ ক্রিকেটাররা খেলেছে, বোলাররা এই পিচে যে বোলিং করেছে, তার তুলনা হয় না। আর আমি ক্রিকেটার হিসেবে উন্নতির জন্য সেরা চেষ্টা করে চলেছি প্রত্যেক দিন।”