দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষা শেষে ফের এক বার এশিয়ান গেমসে ফিরেছে দাবা। প্রতীকী চিত্র
দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষা শেষে ফের এক বার এশিয়ান গেমসে ফিরেছে দাবা। চিনের হাংঝাউয়ে এশিয়ান গেমসে দাবা থেকে পদকের আশা করছে ভারত। দাবা থেকে যে পদক আসবে সে বিষয়ে নিশ্চিত ভারতের দ্বিতীয় তথা বাংলার প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া। তাঁর লক্ষ্য সোনা জয়। ভারত থেকে যে দল সেখানে প্রতিনিধিত্ব করবে সেই দলের সোনা জয়ের দক্ষতা রয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।
ভারত থেকে কোন পাঁচ জন এশিয়ান গেমসে প্রতিনিধিত্ব করবেন তা নির্বাচন করার দায়িত্বে তিন সদস্যের যে নির্বাচক কমিটি রয়েছে তার সদস্য দিব্যেন্দু। প্রতিযোগিতার এখনও আট মাস বাকি। তবে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে দিব্যেন্দু বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই লড়াই করছে বিশ্ব দাবা সংস্থা। আশা করছি এশিয়ান গেমসে ভাল ফল করতে পারলে আগামী দিনে অলিম্পিক্সেও নামতে পারব।’’
এর আগে মাত্র এক বার এশিয়ান গেমসে দাবা অন্তর্ভুক্ত করা হলেও সেখানে দলের আশাপ্রদ ফল হয়েছিল। দিব্যেন্দু বলেন, ‘’১২ বছর আগে যে এশিয়ান গেমস হয়েছিল সেখানেও কিন্তু ভারতের প্রথম পদক দাবা থেকেই এসেছিল। কিন্তু সে ভাবে তার প্রচার হয়নি। এ বারের দলও খুব শক্তিশালী হতে চলেছে। ভারত এখন দাবায় বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। ভিদিত গুজরাটি, বি আধিবান, সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়, কোনেরু হাম্পির মতো দাবাড়ুরা রয়েছে। তিন জন পুরুয ও দু’জন মহিলা প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। ব্যক্তিগত ও দলগত দু’টি ইভেন্টেই পদক পাব।’’
এ বার দলের মেন্টর করা হয়েছে ভারতের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার তথা প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দকে। তিনি থাকায় দল অনেক সুবিধা পাবে বলেই মনে করেন দিব্যেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এ বার আনন্দ খেলবে না। তবে ও দাবাড়ুদের প্রস্তুতি ও প্রয়োজনে তাদের সব রকমের সাহায্য করবে। আনন্দ থাকায় মানসিক ভাবেও অনেক সাহায্য পাবে দাবাড়ুরা। আনন্দের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’’
ভারতের সোনা জয়ের ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে চিন। তাদের হারাতে পারলে আর কোনও এশীয় দেশ তাদের আটকাতে পারবে না বলেই মনে করছেন দিব্যেন্দু। কোন পাঁচ জন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তা মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যে নির্বাচন করা হয়ে যাবে। তার পরেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু। সূর্যশেখরদের কাছে শুধু পদক নয়, সোনা দেখতে চাইছেন দিব্যেন্দু। কারণ সামনে লড়াই আরও কঠিন। অলিম্পিক্সে খেলার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।